BRAKING NEWS

মধুবনে মাটি ফুঁড়ে অগ্ণ্যুৎপাত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মে৷৷ মাটির নীচ থেকে ধুঁয়ো নির্গমণের কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন বের হতে দেখে আমতলি থানাধীন মধুবনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ওএনজিসি, বিদ্যুৎ দফতর, পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে৷ দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও, এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে৷ তাতে স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে৷আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার আমতলি থানাধীন মধুবনের কাঠাতলির ঝড়ঝড়ি এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটির পাশে মাটির নীচ থেকে ধুঁয়ো বের হতে দেখেন স্থানীয় জনগণ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই বিদ্যুতের খুঁটির চারপাশে অগ্ণ্যুৎপাত শুরু হয়ে যায়৷ স্থানীয় জনগণ তখন বিদ্যুতের গ্যাং ফেলে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেন৷ পাশাপাশি, স্থানীয় ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ দফতর, পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়৷খবর পেয়ে সকলেই ছুটে আসেন৷ সকাল ৯-টা থেকে দুপুর ২-টা পর্যন্ত টানা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়৷


স্থানীয় জনগণের বক্তব্য, দমকল বাহিনী জল ছুঁড়তেই আগুন প্রায় নিভে যায়, কিন্তু কোনওভাবেই ধুঁয়ো বেরোনো বন্ধ হচ্ছিল না৷ ওএনজিসি কর্তৃপক্ষও অনেক চেষ্টা করেন৷ বেলা ২-টা নাগাদ ওই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে৷ তবে স্থানটি প্রচণ্ড গরম হয়ে রয়েছে৷ আগুন নিভলেও, তাপ এখনও কমেনি৷ ফলে ওই স্থানে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ এ-বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, লাভা ধরনের ধুঁয়ো বের হচ্ছিল ওই স্থান থেকে৷ ওএনজিসি-র স্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, মাটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৷ ওখানে কোনও গ্যাস পাওয়া যায়নি৷ তবে ধুঁয়ো এবং আগুন বের হওয়ার প্রকৃত কারণ জানার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে৷ এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়৷আমতলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মাটির ধুঁয়ো এবং আগুন বের হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই৷

দমকল বাহিনীর সহযোগতিায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে৷ তবে ধুঁয়ো এবং আগুন কেন বের হচ্ছিল সে বিষয়ে আপাতত কোনও ধারণা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে৷প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বেও ত্রিপুরায় মাটির নীচ থেকে ধুঁয়ো এবং গরম তরল জাতীয় পদার্থ বের হওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল৷ এর প্রকৃত কারণ এখনও বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করতে পারেননি৷ একেক সময় একেক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ ফলে, এ-ধরনের ঘটনা এখনও রহস্যজনক রয়ে গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *