ভুবনেশ্বর, ১৫ এপ্রিল (হি.স.): ভারতের মুকুটে আরও একটি নতুন পালকের সংযোজন | সোমবার ওডিশা বালেশ্বর জেলার চাঁদিপুরে, ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হল ১,০০০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও বস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম সাব-সোনিক ক্রুশ মিশাইল ‘নির্ভয়’-এর|
ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) দ্বারা দেশীয় প্রযুক্তিকে তৈরি ‘নির্ভয়’ মিসাইল ৩০০ কেজি ওয়ারহেড বহনে সক্ষম| ১,০০০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও বস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম সাব-সোনিক ক্রুশ মিশাইল ‘নির্ভয়’| এরোনট্যিকাল ডেভেলপমেন্ট এসটাব্লিশমেন্ট বা এডিই-র তত্ত্বাবধানে ও ডিআরডিও-র সহযোগিতায় এই মিসাইলটি তৈরি করা হয়েছে৷ এর সারফেস ভার্সনটি পরীক্ষা করা হয় ২০১৩ সালের ১২ই মার্চ৷ ওড়িশার বালাসোর জেলার চাঁদিপুর থেকে সেই পরীক্ষাটি করা হয়৷ তবে সেসময় নিজের পাল্লার ৩০ শতাংশ পথ অতিক্রম করতে পেরেছিল এই মিসাইলটি৷
ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার ওডিশা বালেশ্বর জেলার চাঁদিপুরে, ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় সাব-সোনিক ক্রুশ মিশাইল ‘নির্ভয়’-এর| প্রসঙ্গত, গত মার্চেই পরপর তিনবার পিনাকা গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালায় ভারত। পোখরানে গত ১২ মার্চ মিসাইল পরীক্ষা করা হয়। এর আগে ১১ মার্চ পরপর দু’বার পরীক্ষা করা হয়। তিনবারই সফলভাবে মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
ডিআরডিও-র তরফে বলা হয়েছে, তিনটি ট্রায়ালেই লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করতে পেরেছে মিসাইলটি। এই পরীক্ষায় পিনাকা তার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। অত্যাধুনিক নেভিগেশন ও কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। ‘তাত্রা’ ট্রাকের উপর থেকে ছোঁড়া হয় ওই মিসাইল। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেই অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষা করে ভারতীয় সেনা। ওডিশা উপকূল থেকে দু-দুটি মিসাইলের পরীক্ষা করে ভারত। মাটি থেকে আকাশে শত্রু ধ্বংস করতে এই মিসাইলগুলির পরীক্ষা করা হয়েছে। খুব দ্রুত এই মিসাইলগুলি শত্রুকে ধ্বংস করতে সক্ষম বলেও জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, মিসাইলগুলি আকাশে রাখা কল্পিত শত্রুকে সফল ভাবে আঘাত করে৷ ভারতীয় সেনার জন্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ডিআরডিও এই মিসাইল তৈরি করেছে।