BRAKING NEWS

আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রভাব এবং গৌরব বৃদ্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি স্বরাজের

নয়াদিল্লি, ৮ এপ্রিল (হি.স.) : আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রভাব এবং গৌরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সফল বিদেশ নীতির ফলেই আবুধাবিতে অর্গাইনাজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশনে (ওআইসি) পাকিস্তানকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিজেপির ইস্তাহার ‘সঙ্কল্প পত্র ২০১৯’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

এদিন সুষমা স্বরাজ বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রভাব এবং গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে এটা বলা হত যে নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতিতে আরব দুনিয়ার কোনও স্থান থাকবে না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সৌদি আরবের জেনাডরিয়াহ উৎসবে ভারতীয় প্রতিনিধিদের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এর থেকে বড় ছিল ওআইসি-র থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া। এটিই ইসলামিক দেশগুলির একমাত্র সংগঠন। সেখানেই পাকিস্তানকে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। চলতি বছরের পয়লা মার্চ ওআইসি-র বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

ওআইসি গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ১৯৬৯ সালে ওআইসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রথম সম্মেলন মরক্কোতে হয়েছিল। সেখানে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান ওই সংগঠনে ভারতের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে। অন্যান্য সদস্য দেশগুলিও পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। ফলে সেখান থেকে অপমানিত হাতেই ফিরতে হয়েছিল ভারতকে। ৫০ বছর পরও ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে পাকিস্তান প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। কিন্তু ওআইসি-এর ভারতের আমন্ত্রণ বাতিল করেনি। কারণ ৫৭টির মধ্যে ৫৬টি দেশ ভারতের সমর্থনে দাঁড়িয়েছিল। সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধির চেয়ার খালি পড়ে ছিল। এটাই নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের সাফল্য।

বৈদেশিক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়ে সুষমা স্বরাজ বলেন, সৌদি আরব, প্যালেস্তাইন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদী। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের থেকে সম্মানিত হয়েছেন। বিজেপিই একমাত্র দল যারা নিজেদের সঙ্কল্প পত্র প্রকাশ করেছে। বাকি রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। এই অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য বিজেপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *