মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সারা বাংলা ঘুরেছি, আজ তার প্রায়শ্চিত্ত করছি : মুকুল রায়

গড়বেতা, ২ এপ্রিল (হি. স.) : মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা বাজার সংলগ্ন ময়রাকাটা এলাকাতে কর্মীসভা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ৷ যেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক কটাক্ষবান তো দিলেনই, নির্বাচন কমিশন ও কর্মীরা পক্ষপাতদুষ্ট বলেও পুনরায় অভিযোগ করলেন সভা থেকে ৷ সভায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য লিপিকা পিড়ি, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দিলীপ পাল সহ অনেকেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়ের হাত ধরে ৷

সভার বক্তব্যে মুকুল রায় বলেন “কয়েকদিন আগে ব্রিগেডে একটা সার্কাস হয়ে গেল।যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন রাজ্যের চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতা সহ অন্যান্যদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের ডাকলেন। বললেন ইউনাইটেড ফোরাম করা হবে।কিন্তু বিশাখাপত্তনমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে গেলেন, দেখলেন চন্দ্রবাবু নাইডু একদিকে কংগ্রেস একদিকে লড়ছে। অথচ বলছেন ইউনাইটেড দল। পুরো সার্কাস দল, যেখানে সবাই বলছে আমি প্রধানমন্ত্রী হব। এই সার্কাস দলে তো জোকার লাগে ,খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ।শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জিকে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া কালীঘাটে একটা পরিবারের হাতে ৩৫ টা প্লট। আগে একটা সময় দেওয়াল লিখনে উপরে বড় বড় করে লেখা থাকতো- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। এখন কোথাও দেখতে পাবেন না এই লেখাটা। কারণ তৃণমূল কর্মীরাও বুঝে গেছেন মমতা আর সততার প্রতীক নেই। গড়বেতায় ৯৮ সালের পর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা যেত না ,আমি প্রথম এখানে এসে সভা করা শুরু করেছি২০১১ সালে।সারা বাংলা ঘুরেছি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷ এখন আমি সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি। এক সময় গড়বেতায় সিপিআইএম বিরোধীদের ভোট দিতে দিত না, ভোট চুরি করত। আর এখন তৃণমূল গড়বেতায় ডাকাতি করছে। এই গড়বেতাতেই তৃণমূল আজকে প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। ভোটের পর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”

এদিন নির্বাচন কমিশনকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে বলেন৷ তিনি বলেন-“এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভারতবর্ষের এবং গণতন্ত্রের, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোন পরিকাঠামো নেই। রাজ্য সরকারের কর্মীদের ব্যবহার করে নির্বাচন করতে হয়। যে কর্মীরা বিভাজিত, আগে সিপিএমের হয়ে করত এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে।তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিচ্ছে। এতে অনেক জায়গায় অশান্তি হচ্ছে। বাংলার মানুষের একটা ধারণা হয়েই গেছে যে নির্বাচন কমিশনের যারা কাজ করছে তারা বিভাজিত এবং পক্ষপাত দুষ্ট। কমিশনের যারা আধিকারিক এসপি-ডিএম যেই হোক না কেন বাংলায় এসেই তারা বিশেষ একটি দলের ভূমিকা নিচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *