BRAKING NEWS

হুরিয়েতকে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগে ওয়াতালির সম্পত্তি অ্যাটাচ করল ইডি

নয়াদিল্লি, ১২ মার্চ (হি.স.) : জঙ্গিদের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়েতকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য জহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালির সম্পতি অ্যাটাচ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে লস্কর-ই-তৈবা ও জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করতে নেমে জহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালির নাম প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় জঙ্গি সংগঠনগুলির আর্থক লেনদেন মাধ্যম ছিলেন ওয়াতালি। জঙ্গি সংগঠন থেকে টাকা নিয়ে বিচ্চিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়েতকে তা সরবরাহ করত ওয়াতালি। সেই কারণ গুরুগ্রামে ওয়াতালির ১.০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করল ইডি। অর্থ তছরুপ ও প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) প্রয়োগ করে এই সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছি। পাশাপাশি ওয়াতালির বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে চার্জশিটও গঠন করা হয়েছে।


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র তরফে হাফিজ মহম্মদ সইদ, মহম্মদ ইউসুফ শাহ ওরফে সালাহউদ্দিন, আফতাব আহমেদ শাহ ওরফে শাহিদুল ইসলাম, আলতাফ আহমেদ শাহ ওরফে ফানটুস, নইম আহমেদ খান, ফারুক আহমেদ দর ওরফে বীট্টা ক্যারাটে, মহম্মদ আকবর খান্ডে, রাজা মেহরাজউদ্দিন কালওয়াল, বসির আহমেদ ভাট ওরফে পিত সইফুল্লা, কামরান ইউসুফ, জাভেদ আহমেদ ভাটুনডারের বিরুদ্ধে ইউএপিএ সহ ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এমনকি এদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ ও প্রতিরোধ আইনের ধারাও মামলা দায়ের করা হয়েছে।এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছে কাশ্মীরের অল পার্টি হুরিয়েত কনফারেন্সের অর্থ সাহায্য করেছে জহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালি। এমন সংগঠনটি যাতে আরও অর্থ সাহায্য পেতে পারে সে জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল ওয়াতালি। এই অর্থ দিয়েই ভারতীয় বিরোধী কার্যকলাপের জন্য উপত্যকার তরুণদের লেলিয়ে দেওয়া হত। এর মধ্যে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের দেখে পাথর ছোড়া, ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়ার মত কার্যকলাপ ছিল। পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে পাকিস্তান এবং ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাস থেকেও অর্থ সাহায্য পেয়েছিল হুরিয়েত নেতারা। ওয়াতালির ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক গুলাম মহম্মদ ভাটের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেই নথি থেকে চাঞ্চল্য প্রকাশ্যে আসে। নথি থেকে জানা যায় লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ, আইএসআই থেকে অর্থ ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাই কমিশনের কাছ থেকে পেতেন ওয়াতালি। এমনকি দুবাই থেকে অর্থ সাহায্য পেতেন ওয়াতালি। পরে এই অর্থ হুরিয়েত নেতাদের কাছে পৌঁছিয়ে দিতেন ওয়াতালি। তার হাতের লেখার সত্যাত্য যাচাই করা হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিহারের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন ওয়াতালি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *