BRAKING NEWS

আত্মস্বার্থ পূরণের জন্য পাকিস্তানের মতো কথা বলছে কংগ্রেস : অরুণ জেটলি

নয়াদিল্লি, ১২ মার্চ (হি.স.) : জঙ্গি দমন, জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। পাশাপাশি তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সুরক্ষিত দেশ।
মঙ্গলবার নিজের ব্লগে অরুণ জেটলি লেখেন, একদিকে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার নিন্দা করছে কংগ্রেস অন্যদিকে বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইকের পর বিরক্ত প্রকাশ করেছে কংগ্রেস নেতারা। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল তখন কংগ্রেস তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। এমনকি তারা দাবি করেছিল এমন কোনও স্ট্রাইক মোদীর আমলে ঘটেনি। এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা আরও বেশি সন্দেহজনক বলে দাবি করে অরুণ জেটলি লেখেন, এয়ারস্ট্রাইক হওয়ার পর প্রথম দুইদিন ভারতীয় বায়ুসেনাকে মৌখিক ভাবে সমবেদনা জানিয়েছিল কংগ্রেস।

কিন্তু তারপর থেকেই এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা প্রচার চালাতে শুরু করে কংগ্রেস নেতারা। এয়ারস্ট্রাইকের সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। বালাকোটে কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছে তার সংখ্যা জানতে চেয়েছে কংগ্রেস। এমন করে জঙ্গি দমন অভিযানকে দুর্বল করে দিতে চেয়েছে কংগ্রেস নেতারা। আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করে জাতীয় রাজনীতিতে ফায়দা তোলার জন্য পাকিস্তানের মতো কথা বলছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর সেই জন্য পাকিস্তান টিভি চ্যালেনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ভাষণ সম্প্রচার হচ্ছে। পাকিস্তান সরকার সত্য আড়াল করতে কংগ্রেস নেতাদের এমন ধরণের মন্তব্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে অরুণ জেটলি লেখেন, উপত্যকার সমস্যা সমাধানের জন্য তৎকালীন ইউপিএ সরকারের কাছে কোনও গঠনমূলক রূপরেখা ছিল না। ক্ষমতায় এসে প্রথাগত ভাবে পাকিস্তানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু উরি, পাঠানকোট, পুলওয়ামায় হামলা করে জবাব দিয়েছিল পাকিস্তান। উপত্যকার আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটে গিয়ে সরকার তৈরি করেছিল বিজেপি। কিন্তু জামাত-ই-ইসলামির চাপে পড়ে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায় ওই আঞ্চলিক দলটি (পিডিপি)।


মাওবাদীদের সঙ্গে কংগ্রেস যোগের কথা উল্লেখ করে অরুণ জেটলি ব্লগে লেখেন, ছত্তিশগড়ে যখন বিজেপি সরকার ছিল তখন মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছিল। জেএনইউ থেকে ছত্তিশগড় সব জায়গাতেই মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত ছিল কংগ্রেসের। এই সকল চরমপন্থী বামপন্থীরা কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহ দিচ্ছে। কংগ্রেস কোনও সন্ত্রাসবাদকে গোঁড়া থেকে নির্মূল করতে তৎপর হয়নি। বর্তমান সময়ে দেশ জেহাদি, চরম বামপন্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যারা পাকিস্তানিদের ইশারায় কাজ করছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাদের যোগ্য জবাব দেবে জনগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *