BRAKING NEWS

এডিসির ক্ষমতায়ণ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে জুমলা বলে কটাক্ষ আইএনপিটির

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জানুয়ারী৷৷ এডিসির হাতে অধিক ক্ষমতা সহ সামাজিক এবং প্রশাসনিকভাবে আগ্রাধিকারের বিষয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএনপিটি তাকে এককথায় জুমলা বলে মনে করছে৷ আইএনপিটি আরও মনে করে গোটা বিষয়টি একটি ভোটকেন্দ্রীক রাজনীতি ভোটব্যাঙ্ক স্ফীত করতেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷
বৃহস্পতিবার আইএনপিটির পক্ষে সাধারণ সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মার অভিযোগ, পিআইবির সূত্রে যতদূর জানতে পেলাম তাতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্যে মোট দশটি জিলা পরিষদের মধ্যে একমাত্র ত্রিপুরাকেই বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে৷ অসমের ডিমাহাসাও, কার্বিআওলং, জয়ন্তিয়া, গাড়ো, খাসি জিলা পরিষদগুলিতে অধিক ক্ষমতা প্রদানের যে সুযোগগুলি রাখা হয়েছে রাজ্যের ক্ষেত্রে তদরূপ করা হয়নি৷ এক্ষেত্রে তিনি এক ভারতে এক সংবিধান মানা হচ্ছে না বল্যে অভিযোগ আনেন৷ তিনি আরও অভিযোগ করেন সংবিধানের ২৮০ অনুচ্ছেদের সংশোধনী এনে শুধুমাত্র অর্থ কমিশনকে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি কার্যত৷


সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মার মতো দলের সভাপতি বিজয় রাঙ্খল সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ২০০৬ সালেই এডিসিকে অধিক ক্ষমতা প্রদানের জন্য রাজ্য বিধানসভায় একটি ঐতিহাসিক বিল উপস্থাপন করা হয়েছিল৷ সর্বসম্মতিক্রমে সেই বিলটি তখন পাশও করানো হয়েছিল৷ পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আলে একটি সমঝোতায় এসব বিষয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহ ককবরক ভাষাকে অষ্টম তপশীলের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারেও কথা হয়েছিল৷ পরে ২০১৫ সালে এনডিএ সরকারের আমলে এ নিয়ে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করা হয়৷ কিন্তু, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা যে সিদ্ধান্তগুলির কথা জানায়, তাতে ওই খসড়া বিলের কোনও মিল খঁুজে পেলেন না তিনি৷ দলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়েছে৷

জগদীশ দেববর্মা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানানো হবে৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলের দশটি জিলা পরিষদের বিভিন্ন প্রতিনিধি সহ সেসব রাজ্যের জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলিকেই তাতে ডাকা হবে৷ অবশেষে এই বৈঠক থেকে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে দিল্লীতে৷ টিটিএএডিসির নাম পরিবর্তন করা নিয়েও দলের পক্ষ থেকে আপত্তির কথা জানান তিনি৷ তাঁর কথায় টিটিএএডিসির নাকরণ করা হোক টিএটিসি৷ অর্থাৎ ট্রাইবেল এরিয়া টেরোটরিয়াল কাউন্সিল৷
এদিকে, গত আটই জানুয়ারী মাধববাড়ীতে ঘটে যাওয়া গুলিকান্ডের মেজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তেরও তীব্র বিরোধীতা জানানো আইএনপিটি৷ তাদের দাবী, যিনি গুলির নির্দেশ দিতে পারেন কিংবা যার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে, সেই তিনিই আবার কীভাবে এই ধরনের গুলিকান্ডের বিচারকার্য চালাতে পারেন? সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা এ ধরনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে উচ্চ আদালতে কর্মরত একজন বিচারপতিকে দিয়েই গোটা ঘটনার তদন্তের কথা জানালেন৷ প্রসঙ্গত, আগামী ত্রিশ জানুয়ারী মাধববাড়ী কান্ডে শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে ইতিমধ্যেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *