BRAKING NEWS

অলোক বর্মা অপসারণ নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা কংগ্রেসের, পাল্টা তোপ বিজেপির

নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি (হি.স.): সিবিআই-এর ডিরেক্টর পদ থেকে অলোক বর্মার অপসারণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিন্দায় মুখর হলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সুশীলকুমার শিন্ডে। প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারীর মতো আচরণ করছেন। তিনি কারও কথা শুনছেন না। গত রাতে সিবিআই ডিরেক্টরকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে পাল্টা কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নিন্দায় মুখর হয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইটারে লিখেছেন, অলোক বর্মাকে যখন সিবিআই-এর ডিরেক্টর পদের জন্য মনোনীত করেছিল সিলেক্ট কমিটি, তিনি তখনও বিরোধিতা করেছিলেন। আর এখন যখন সেই সিলেক্ট কমিটি অলোক বর্মাকে অপসারণ করল তখন তিনি বিরোধিতা করে চলেছেন।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের ছাড়া কারও কথা শোনেন না। গত রাতে সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে সরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই নোটবন্দি জারি করেছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আচারণ স্বৈরাচারীর মতো। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সংবিধানের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাই নেই প্রধানমন্ত্রীর।’ অন্যদিকে পাল্টা কংগ্রেসের নিন্দায় মুখর হয়ে রেলমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘অলোক বর্মাকে যখন সিবিআই-এর ডিরেক্টর পদের জন্য মনোনীত করেছিল সিলেক্ট কমিটি, তিনি তখনও বিরোধিতা করেছিলেন। আর এখন যখন সেই সিলেক্ট কমিটি অলোক বর্মাকে অপসারণ করল তখন তিনি বিরোধিতা করে চলেছেন।’ সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে নোট অফ ডিসেন্ট দেওয়ার জন্য মল্লিকার্জুন খারগের নিন্দায় মুখর হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ট্যুইটারে লেখেন, অলোক বর্মার অপসারণ এবং নিয়োগের সময় ভোট অফ ডিসেন্ট দিয়ে মল্লিকার্জুন খারগে প্রমাণ করলেন যে কংগ্রেস কোনও কিছু না বুঝেই বিরোধিতা করে চলেছে। নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে কংগ্রেস।প্রসঙ্গত, সিবিআই ডিরেক্টর পদে ফিরে আসার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফের অপসারিত অলোক বর্মা। বৃহস্পতিবার সিলেক্ট কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার অনুপস্থিতিতে সিবিআই-এর দেখভালের দায়িত্ব ফের দেওয়া হল এম নাগেশ্বর রাওকে। নতুন ডিরেক্টর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত তার দায়িত্বে চলবে সিবিআই। অলোক বর্মার অপসারণের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলীয় ট্যুইটারে হ্যান্ডলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত থেকে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই অপসারণ করা হয়েছে।
ওই দিনের উচ্চপর্যায়ের সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতির রঞ্জন গগৈয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগে। দুই ঘন্টা পনেরো মিনিটের রুদ্ধশ্বাস বৈঠকে ২-১ ভোটে অলোক বর্মা অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মল্লিকার্জুন খারগে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ দেন। বুধবারও সিলেক্ট কমিটি মিলিত হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠক অমীমাংসিত ছিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *