BRAKING NEWS

সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা

ঢাকা, ৩ জানুয়ারি (হি.স.) : সর্বসম্মতিক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের নেতা নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা | বৃহস্পতিবার শপথ নেলেন বাংলদেশের সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা | শপথের পর ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরের সংসদ ভবনেই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যদের বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে নেতা নির্বাচিত করেন দলের জয়ী সাংসদরা । এর ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০০৯ সালে নবম সংসদ, ২০১৪ সালে দশম সংসদের পর এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদ নেতা নির্বাচিত হলে শেখ হাসিনা। এর আগে ১৯৯৬ সালেও তিনি সংসদ নেতা ছিলেন।

আর আগে বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন বাংলদেশের সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা | এদিন ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরের সংসদ ভবনে বিজয়ী ২৯১ জন সাংসদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এদের মধ্যে ২৮৮ জন আওয়ামি লিগ-সহ মহাজোটের সাংসদ। এছাড়া শপথ নিয়েছেন ৩জন স্বতন্ত্র জনপ্রতিনিধি। এদিন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, স্পিকার নিজেই নিজের শপথবাক্য পাঠ করেন। পরে স্পিকার হিসেবে তিনি নির্বাচিত অন্য সদস্যদের শপথ পড়ান। স্পিকার শপথ বাক্য পাঠ করার পর সামনে নতুন সাংসদদের সারিতে থাকা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দেন। পরে শিরীন শারমিন শপথপত্রে সই করেন। নতুন সাংসদরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন। সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানোর আগে নিয়ামানুযায়ী স্পিকার নিজেই শপথগ্রহণ করেন। শপথের পর নবাগত সাংসদরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন এবং গ্রুপ ছবি তোলেন।

এদিকে, নির্বাচনে জয়ী হলেও এদিন শপথ নেননি বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনপ্রতিনিধিরা। ভোটে শাসকদলের কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে বরাবরই সরব ছিলেন তাঁরা। প্রতিবাদস্বরূপ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের জয়ী প্রার্থীরা শপথ নিতে না নিলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হয়। ৩০০র মধ্যে ২৯৯ টি আসনে ভোটগ্রহণের পর ওইদিনই গণনা শুরুর হওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে যায় আওয়ামী লিগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটই ফের ক্ষমতায় আসছে।২৮৮ আসনে জয়ী হন আওয়ামি লিগ এবং সহযোগী অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। আর বিএনপি-সহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা পেয়েছেন মাত্র ৭টি আসন। বাকি দু’টির মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে নির্বাচন হয়নি। এছাড়া ব্রাক্ষণবেড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন হবে বলে ফলাফল স্থগিত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *