BRAKING NEWS

রাত পোহালেই বাংলাদেশে নির্বাচন, কড়া নিরাপত্তা গোটা বাংলাদেশে, সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

কলকাতা ও নয়াদিল্লি, ২৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : রাত পোহালেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। কড়া
নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বাংলাদেশকে। সেনাবাহিনী থেকে সমস্ত ফোর্সকে গোটা
দেশের নিরাপত্তার মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা
নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। দেশের পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে
ফেলা হয়েছে সীমান্ত এলাকাও। বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। বাংলাদেশের
নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতও যথেষ্ট সতর্ক।
ইতিমধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
বিএসএফের তরফে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে হাইঅ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সিল করে দেওয়া

হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সংলগ্ন সমস্ত সীমান্ত। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়,
অসম, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুদিন অর্থাৎ রবিবার এবং সোমবার দুই
দেশের মধ্যে স্থলপথে আন্তর্জাতিকস্তরে বাণিজ্য হবে না বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি জল
সীমান্তও কড়া নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড অতি সতর্ক। নৌবাহিনীকেও সতর্ক করে দেওয়া
হয়েছে। আন্তর্জাতিক নদীপথগুলিতে চলছে বিশেষ নজরদারীর জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা-
আখউরা সীমান্ত, মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত। অসমের করিমগঞ্জ। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের
চ্যাংড়াবান্ধা, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ এবং
ঘোজাডাঙা সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার
সুন্দরবন, নদীয়া গেদে, মালদহের হব্বিবপুরের ভোটচলাকালীন টহলদারি আরও বাড়ানোর কথা
বলা হয়েছে বিএফএফের তরফে। বাংলাদেশের নির্বাচন চলাকালীন সেখানে অপরাধ করে কেউ যাতে
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আর না চলে আসতে পারে সেজন্যে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে
বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও টহলদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে
সীমান্তরক্ষা বাহিনীর তরফে। এছাড়াও জওয়ানদের বিশেষভাবে অ্যালার্ট থাকার কথা বলা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় আসা যে কোনও গাড়ি কিংবা মানুষের উপর তল্লাশি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে বিএসএফের তরফে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তুঙ্গে উত্তেজনা।নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী
ঢাকাকে। জোরকদমে চলছে শাসক-বিরোধীদের প্রচার। পাল্লা দিয়ে ঘটছে সংঘর্ষও। তবে গণতন্ত্রের
লড়াইয়ের ভাবে বেনজিরভাবে এবার বিপাকে পড়েছেন ভাড়া বা মেসবাড়িতে থাকা অবিবাহিত
পুরুষরা। অভিযোগ, নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাচেলরদের নাকি ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে
প্রশাসন। অনেকেই নাকি ইতিমধ্যে গ্রামের বাড়ি ফিরেও গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, অবিবাহিত
পুরুষদের নাকি গত বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টার মধ্যেই ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর ফলে ইতিমধ্যে ফকিরাপুল, আরামবাগ, বাড্ডা, খিলখেত, নিকুঞ্জ, মণিপুরী
পাড়া ও মিরপুর এলাকার অনেকেই মেস বা ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান
জানিয়েছেন, সমস্তটাই গুজব। পুলিশের তরফে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। অবিবাহিত
পুরুষদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সমীক্ষা বলছে, ৩০০
আসনের মধ্যে শাসকদল তথা শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে
জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসনে জয় পেতে
পারে। তবে সমীকরণ যাই বলুক না কেন, আপাতত চরম সতর্ক এই নির্বাচনকে ঘিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *