গুয়াহাটি, ২৪ ডিসেম্বর(হিস)৷৷ লাঠি বন্দুক দিয়ে পুলিশ প্রশাসন উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়, তা আকছার দেখা যায়৷ কিন্তু একজন পুজারি বা সন্ন্যাসী সাধারণ একগাছা দড়ির বলে লক্ষ লক্ষ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হন৷ বহু দেশ জয় করার পরও সম্রাট অশোক সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন৷ এটা কী করে সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব৷ কেননা এ যে ভারতীয় সংসৃকতি, পরম্পরা৷ এ ধরনের কীর্তিকলার কেবল ভারতবর্ষের মত দেশেই সম্ভব৷ এই অভিমত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের৷
ভারতীয় দর্শন এবং প্রমূল্যবোধের বলে নিজেদের রচনা, সংরক্ষণ এবং মূল্যাঙ্কনের আদর্শে গঠিত অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার ত্রিবার্ষিক একাদশ রাষ্ট্রীয় অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতি, অসমের উদ্যোগে স্থানীয় শ্রীমন্ত শংকরদেব আন্তর্জাতিক মিলনাতনে অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার রাষ্ট্রীয় সভাপতি
অধ্যাপক সতীশচন্দ্র মিত্তালের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বত্তব্য পেশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব আরও বলেন, ভারতবর্ষে মোঘলরা ছয়শো এবং ব্রিটিশরা দুশো বছর রাজত্ব করেও ভারতের সভ্যতা সংসৃকতি ধবংস করতে পারেনি৷ এরই মধ্যে সাম্প্রতিকালে কমিউনিস্টরা যেভাবে ভারতীয় সভ্যতা ও সংসৃকতি ধবংস করতে উঠে পড়ে যে অভিযান চালিয়েছে তা কখনও সফল হবে না৷ এর জ্বলন্ত উদাহরণ ত্রিপুরা৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরার জনসাধারণ কমিউনিস্ট বিচারধারাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে, কমিউনিজমের ভাবধারা ছুড়ে ফেলে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা সংসৃকতি সাদরে গ্রহণ করেছেন৷
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দেব আরও বলেন, কমিউনিস্টরা আসলে ক্যাডারের নামে গুন্ডা সৃষ্টি করে দশ হাজার বছরের পুরনো ভারতীয় সভ্যতা, সংসৃকতি ও পরম্পরা ধবংস করতে কোমর কষে মাঠে নেমেছে৷ বলেন, কমিউনিস্টরা জনতার কন্ঠ রুদ্ধ করে তাদের বিপথে পরিচালিত করতে চায়৷ আলেকজান্ডারের মত রাজাও ভারতবর্ষকে জয় করতে এসে ভারতীয় পুরুর মতো রাজার স্বাভিমানের কাছে নতি স্বীকার করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ বিপ্লব দেব বলেন, কমিউনিস্টরা অভিযোগ করেন, বিজেপি নাকি দেশকে গেরুয়াকরণ করে দিচ্ছে৷ তা সর্বৈব মিথ্যা অপপ্রচার বলে দাবি করে তিনি বলেন, বরং কমিউনিস্টরাই সমগ্র বিশ্বকে লাল রঙে রঞ্জিত করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাদের সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি৷
আজরে আলোচনাচক্রে ইতিহাস বিষয়ক কয়েকটি বই উন্মোচন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ এদিকে আজকের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার রাষ্ট্রীয় সভাপতি অধ্যাপক সতীশচন্দ্র মিত্তালকে আগামী তিন বছরের জন্ম একই পদে, দেবীপ্রসাদ সিংকে কার্যনির্বাহী সভাপতি, ঈশ্বরচরণ বিশ্বকর্মাকে মহাসচি, ড বালমুকুন্দ পান্ডেকে রাষ্ট্রীয় সংগটনসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়৷
2018-12-25

