নয়াদিল্লি, ৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : ভারত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসন রুখতে নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। সেই অনুযায়ী ৫৬টি নতুন যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন পেতে চলেছে নৌবাহিনী। ইতিমধ্যে ৩২টি যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিনের তৈরির কাজ চলছে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা।
৪ ডিসেম্বর গোটা দেশজুড়ে পালিত হবে নৌসেনা দিবস। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দর সফল ভাবে হামলা সম্পাদন করার স্মৃতিতে দিনটিকে পালন করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই উপলক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা বলেন, ৫৬টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন নৌবাহিনীর জন্য অনুমোদন করেছে কেন্দ্র সরকার। এইসব নতুন জাহাজ দিয়ে ফ্লিট তৈরি করা হবে। ভারত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুনীল লাম্বা বলেন, ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা দায়িত্বে ভারতীয় নৌবাহিনীর। যে কোনও ধরণের হামলা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। মহাসাগরে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রদানের দায়িত্ব আমাদের। নৌশক্তিতে আমরা পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। চিনের ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরে ভারসম্যের নিরিখে ভারতের দিকেই পাল্লা ভারি। একই ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে ক্ষমতার নিরিখে শক্তি বেশি চিনের। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী বিশ্বমানের নৌবাহিনীতে পরিণত হবে। সেই সময় ভারতের হাতে ২০০টি যুদ্ধজাহাজ ও ৫০০টি যুদ্ধবিমান থাকবে।
কেন্দ্রের মেক ইন ইন্ডিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, নৌবাহিনীর ৭২ শতাংশ বরাত ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের জেলে বন্দি কুলভূষণ যাদব সম্পর্কে বলতে গিয়ে নৌপ্রধান বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমরা ক্রমাগত সংযোগ রেখে চলেছি। সমস্ত ধরণের সাহা্য্য তার পরিবারকে করা হচ্ছে।
নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, প্রত্যেকটি যুদ্ধ জাহাজে মহিলা অফিসার থাকবে। ইতিমধ্যেই বিক্রমাদিত্য, কলকাতা ক্লাস জাহাজে মহিলা অফিসার রয়েছে।