BRAKING NEWS

মোদীজী শুধু ভাষণই দিয়েছেন, কৃষকদের সভামঞ্চ থেকে গর্জে উঠলেন রাহুল-কেজরিওয়াল

নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর (হি.স.): মোদীজী শুধুমাত্র ভাষণই দিয়েছেন| কাজের কাজ কিছুই করেননি| কৃষকদের প্রতিবাদ সভা থেকে এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণমুখী হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী| শুধুমাত্র রাহুল গান্ধীই নন, কৃষকদের প্রতিবাদ সভা থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সিপিআই (এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ|
প্রতিশ্রুতি মিলেছিল ভুরিভুরি| কিন্তু, দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি এখনও| আর তাই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কৃষকরা| ঋণ মকুব, ফসলের ন্যায্য দাম-সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে ফের বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কৃষকরা| মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিল্লিতে এসেছেন কৃষকরা| মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতেই আবারও দিল্লিতে জড়ো হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কৃষকরা| সবথেকে বেশি সংখ্যায় কৃষকরা এসেছেন মহারাষ্ট্র থেকে| বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামলীলা ময়দানে বিরাট সভার আয়োজন করা হয়| রাতে রামলীলা ময়দানেই কাটিয়েছেন কৃষকরা| শুক্রবার সকালেই শুরু হয়ে যায় কৃষকদের ‘কিষাণ মুক্তি মোর্চা’| এদিন সকালেই প্রতিটি কৃষক সংগঠনের সদস্যরা রামলীলা ময়দানের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন| শ্লোগান দিতে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে| বেশ কয়েকজন কৃষকের হাতে আবার নরকঙ্কালও দেখতে পাওয়া যায়| যে সমস্ত কৃষকরা দেনার দায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের নরকঙ্কাল নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছেন কৃষকরা|
রাম রামলীলা ময়দান থেকে সরাসরি সংসদ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন কৃষকরা| কৃষকদের গন্তব্য ছিল পার্লামেন্ট স্ট্রিট| তবে, শর্তসাপেক্ষে তাঁদের রামলীলা ময়দান থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ| দুপুর পর থেকেই কৃষকদের প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সিপিআই (এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ| মোদী সরকারকে আক্রমণ করে কৃষকদের সভামঞ্চ থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘মোদীজী ফসলের ন্যায্য দামের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন| প্রধানমন্ত্রী বোনাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখুন| শুধু ভাষণই দেওয়া হয়েছে, কিছুই করা হয়নি|’ রাহুল আরও জানিয়েছেন, ‘যদি শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করা সম্ভব হয়, তবে কৃষকদের ঋণ কেন মকুব করা হবে না? ভারতের কৃষকদের প্রতি আমার আশ্বাস, ভয় পাবেন না| আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি| আপনাদের শক্তিই দেশকে বানিয়েছে|’
কৃষকদের প্রতিবাদ সভা থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি রয়েছে| আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, স্বামীনাথন রিপোর্ট বাস্তবায়িত করা হোক| অন্যথা হলে ২০১৯ সালে কৃষকরা আরও বিদ্রোহী হয়ে উঠবে|’ কৃষকদের সভামঞ্চ বিজেপি, আরএসএস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে সিপিআই (এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘বিজেপি, মোদী এবং আরএসএস-এর হাতে এখন একটিই অস্ত্র, সেটা হল রাম মন্দির| নির্বাচন এগিয়ে আসছে, তাঁরা এখন রাম রাম জপতে শুরু করেছেন|’ রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও এদিন কৃষকদের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *