মুম্বই, ২ নভেম্বর (হি.স.): রামমন্দির ইস্যু হিন্দুদের ভাবনার সঙ্গে জড়িত| আর তাই অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ইস্যুর প্রেক্ষিতে অবিলম্বে রায় ঘোষণা করা উচিত আদালতের| শুক্রবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডলের বৈঠকের অন্তিম দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র সরকার্যবাহ সুরেশ যোশী (ভাইয়াজি)| গত বুধবার, ৩১ অক্টোবর মুম্বইয়ের শহরতলি ভাইন্দরে অবস্থিত কেশব সৃষ্টিতে শুভারম্ভ হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডলের বৈঠক| বৈঠকের সমাপ্তি হয়েছে শুক্রবার, অন্তিম দিনে আরএসএস-র অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডলের বৈঠকে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ| এদিন সকালেই কেশব সৃষ্টিতে পৌঁছে আরএসএস-এর কার্যকারী মণ্ডলের বৈঠকে যোগ দেন অমিত শাহ| পাশাপাশি সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত-সহ আরএসএস নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাত্ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি|
তিন দিন ব্যাপী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডলের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে| এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরকার্যবাহ সুরেশ যোশী (ভাইয়াজি) বলেছেন, রামমন্দির নিয়ে বিগত ৩০ বছর ধরে আন্দোলন করছেন হিন্দুরা| হিন্দু সমাজ আপাতত অপেক্ষায় রয়েছে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মিত হোক এবং এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বাধা বিপত্তি দূরীভূত হোক| কিন্তু, এই প্রতীক্ষা এখন আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে| ২০১০ সালে উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) এই ইস্যুতে রায় ঘোষণা করেছিল| কিন্তু, ২০১১ সাল থেকে সর্বোচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে এই মামলা| সর্বোচ্চ আদালতের তিন সদস্যের বিচারপতি বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল, কিন্তু আবারও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে অযোধ্যা মামলার শুনানি|
সর্বোচ্চ আদালতের কাছে যখন জানার চেষ্টা করা হয়, কবে হবে এই মামলার শুনানি| তখন বলা হয়, শুনানি কবে হবে তা আদালতের বিচার্য্য বিষয়| আদালতের এই উত্তরে অপমানিত বোধ করেছে গোটা হিন্দু সমাজ| আর এই বক্তব্য সমস্ত হিন্দু সমাজের কাছে অত্যন্ত আশ্চর্য্যজনক এবং বেদনাদায়ক| নাগরিক সমাজের উচিত আদালতকে সম্মান করা এবং আদালতেরও উচিত নাগরিক সমাজের ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া|
রামমন্দির ইস্যুতে আইন এবং অধ্যাদেশের বিকল্প হিসেবে ভাইয়াজি বলেছেন, এই বিষয়ে বিচার বিবেচনা করার অধিকার রয়েছে মূলত সরকারের| তাঁর কথায়, পি ভি নরসিংহ রাও নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বোচ্চ আদালতে শপথ পত্র দিয়েছিল যে, যদি ওই স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির পর মন্দির থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে সরকার সেখানে মন্দির নির্মাণের জন্য সাহায্য করবে| ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে, ওই স্থানে মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল| তাই মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে কারও আপত্তি থাকা উচিত নয়| ভাইয়াজি যোশী আরও বলেছেন, রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সরকারের উপর আমরা কোনওরকম চাপ প্রয়োগ করছি না| বরং, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে| সন্তদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা উচিত এবং যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা উচিত|