BRAKING NEWS

রাজ্যে গুণগত শিক্ষায় ঘাটতি থাকলেও কলংক মুছতে চলেছে টেটের ফলাফল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ অক্টোবর৷৷ গুণগত শিক্ষার রাজ্যে ঘাটতি থাকলেও সাম্প্রতিক কালে টেট এর ফলাফলে এই কলংক মুছতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে৷ গত সেপ্ঢেম্বর মাসে টেট-১ পরীক্ষায় ২২.০২ শতাংশ এবং টেট-২ পরীক্ষায় ২০.২ শতাংশ পরীক্ষার্থি উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, গুণগত শিক্ষার প্রতি নব প্রজন্মের ঝোঁক বেড়েছে এবং তারা নিজেদের উকর্ষতা বৃদ্ধি করে চলেছে তা সাম্প্রতিক টেট এর ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, টেট উত্তীর্ণ হলেই চাকুরি নিশ্চিত এই সমিকরণ নব প্রজন্মের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে৷ তাই, টেট পরীক্ষায় সাফল্য বেড়ে চলেছে৷

এদিন তিনি জানিয়েছেন, গত ৮ সেপ্ঢেম্বর অনুষ্ঠিত টেট-১ পরীক্ষায় ২১৭৪ জন আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তাদের মধ্যে ১১৮৯ জন পরীক্ষা দিয়েছেন৷ তাতে, ৩৯৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ ৩৮৫ জন পরীক্ষায় বসেননি৷ এদিকে, টেট-২ পরীক্ষায় ২৭৬২ জন আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তাদের মধ্যে ২৩৩৭ জন পরীক্ষা দিয়েছেন এবং ৪২৫ জন পরীক্ষায় বসেননি৷ টেট-২ পরীক্ষায় ৪৭২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, টেট-১ পরীক্ষায় ২২.০২ শতাংশ এবং টেট-২ পরীক্ষায় ২০.২ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ যা ত্রিপুরা সহ সারা ভারতে সর্বকালীন রেকর্ড৷ শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, জাতীয়স্তরের সমতুল্য এ রাজ্যে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ সাম্প্রতিক টেট আগরতলায় দুটি এবং বিলোনীয়া, ধর্মনগর, কৈলাসহর, কমলপুর, খোয়াই, উদয়পুর এবং সোনামুড়াতে একটি করে সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে৷

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে ৩ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ তাঁর দাবি, ২০১৬ সালে টেট-১ ৮ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন৷ তেমনিই টেট-২ ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ সারা দেশের হিসাব দেখে জানা গেছে, সেন্ট্রাল টেট ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১৭ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পরেছেন৷ ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে সেন্ট্রাল টেট অনুষ্ঠিত হয়নি৷ এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, গুণগত শিক্ষায় রাজ্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে৷ তাই, আগামী ডিসেম্বরে আরোও একবার টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *