গুয়াহাটি, ২৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সাত মিনিটের ব্যবধানে মঙ্গলবার সকালে মধ্যম তীব্রতার ভূমিকম্পে তিনবার কেঁপে উঠেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। এর হালকা ঝটকা অনুভূত হয়েছে অসম-সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার এবং ভুটানও| রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪.৭ ছিল বলে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) সূত্রে জানা গেছে। তবে এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার ৪.৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি প্রথমে অনুভূত হয়েছে সকাল ৯.১৭ মিনিটে। এর অভিকেন্দ্র বা উৎসস্থল ছিল নিম্ন অসমের বরপেটা জেলা। স্থায়ী ছিল কয়েক সেকেন্ড। এর কিছুক্ষণ পর মাত্র আট সেকেন্ড পর ফের একই তীব্রতার ভূকম্প অনুভূত হয়। পরে তৃতীয় ভূকম্পন অনুভূত হয় ৯.২৩ মিনিটে। আজকের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অসমের বরপেটা জেলার ২৬.৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে|
উল্লেখ্য, গত ১৭ এবং ১২ সেপ্টেম্বর কোকরাঝাড় জেলায় ৫.৬ রিখটার স্ক্যালে মধ্যম তীব্রতার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছিল। ১২ তারিখ সকাল ১০টা ২১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে সংঘটিত ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্ক্যালে তীব্রতার মাত্রা ধরা পড়েছিল ৫.৬। স্থায়ী ছিল প্রায় ৩২ সেকেন্ড। এর উৎসস্থল ছিল অসমের কোকরাঝাড় জেলার সাপটগ্ৰাম থেকে প্রায় সাত (৭) কিলোমিটার উত্তরে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী সিথিলাগ্ৰামের ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে এপিএফ ২৬.০৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০১° পূর্বে। সেদিনের ভূমিকম্পে কোকরাঝাড় জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পরবর্তীতে পাঁচদিনের মাথায় জেলার গোসাঁইগাঁও মহকুমায়ও বেলা ১১.১২ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেদিন অবশ্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে এক পক্ষকালের মধ্যে আবার সংঘটিত ভূমিকম্পে মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এরই সূত্রে গুয়াহাটিতে অবস্থিত আবহাওয়া দফতরের জনৈক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, গত ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মোট ২১-বার ভূমিকম্প হয়েছে। সিসমিকের হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে পাঁচের মধ্যে রাখা হয়েছে। তাই এই অঞ্চলে ঘন-ঘন ভূকম্প সংঘটিত হয়। এ ব্যাপারে সতর্কতাই একমাত্র অবলম্বন বলে পরামর্শ দিয়েছেন আধিকারিকটি।