নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার শহরতলীর ডুকলী ব্লকে
বিজেপি ও কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে৷ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে৷ সেইসাথে কাদানে গ্যাসের সেলও নিক্ষেপ করা হয়৷ এই সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে পুলিশকর্মীসহ ওই দুই রাজনৈতিক দলের প্রায় দশজন আহত হয়েছেন৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডুকলী ব্লক এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তা কর্মী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল৷
সংবাদে প্রকাশ, মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিল করার অন্তিম দিন৷ এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরিজিৎ সিনহা সহ বেশ কয়েকজন রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য ডুকলী ব্লকে গিয়েছিল৷ সেখানে তখন উপস্থিত ছিল বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে থাকা শতাধিক কর্মী সমর্থক৷ ছিলেন বিজেপির বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল৷ কংগ্রেসের প্রার্থীদের সমর্থনের কিছু সংখ্যক কর্মী সমর্থক সেখানে পৌঁছে৷ কিন্তু, দুটি দলের কর্মীদের মধ্যে উচ্চবাচ্য হয়৷ তাতে উভয় দলের কর্মীরা একসময় উত্তেজিত হয়ে উঠে৷ মুহুর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে৷ অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় এসডিপিও অজয় কুমার দাস বিশাল সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে মোতায়েন করেন৷ আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় এসডিপিও অজয় কুমার দাস দুই দলের উত্তেজিত জনতাকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে৷ তাতে কোন ফল হয়নি৷ উল্টো নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারা হয়৷ পরিস্থিতি অবনতিরে দিকে যেতে দেখে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেন৷ একসময় কাদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেন৷ সংঘর্ষ ও লাঠিচার্জে পুলিশ সহ উভয় রাজনৈতিক দলের দশজন আহত হয়েছেন৷
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিডিও অফিসে বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বদের নিয়ে এসডিপিওর উপস্থিতিতে এক বৈঠক করেন বিডিও৷ অভিযোগ উঠেছে, এদিন মনোনয়ন দাখিল ঘিরে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটেছে তাতে ব্লকের কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন৷ আক্রান্তদের মধ্যে মহিলা কর্মীও রয়েছেন৷