নয়াদিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর (হি.স.): ভারত বনধের নামে হিংসা এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই কারণে আমরা দুঃখিত। ভারত বনধ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার এমনই ভাষায় বিরোধীদের বিঁধলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক হোক বলে জানিয়েছেন তিনি।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল। সারা দেশজুড়ে এই বনধে জনজীবন ব্যহত হয়েছে। এদিন বিরোধীদের ডাকা এই বনধকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ করার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। কিন্তু আজ কি হল? সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে পেট্রোল পাম্প এবং বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিহারের জেহানাবাদে বিক্ষোভের জেরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ে তার জেরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মৃত্যু জন্য কে দায়ী? এদিন ভারত বনধের নাম করে যে হিংসা ও অরাজক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তার জেরে আমরা দুঃখিত। বনধ সমর্থকেরা জনতার সমর্থন না পেয়ে অন্য পন্থায় বনধ সফল করার চেষ্টা করেছে। আমরা এই হিংসা এবং অরাজক পরিস্থিতির প্রতিবাদ করছি। বিজেপি এবং এনডিএ মধ্যে থাকা দলগুলি আগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এবং বনধ করেছে। কিন্তু, এমন পরিস্থিতি কোনও দিন তৈরি হয়নি।
অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমি নিশ্চিত এই সমস্যার সমাধান খুব শীঘ্রই আমরা করতে পারব। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হোক। ভারত বনধ নিয়ে উদাসীন দেশের সাধারণ মানুষ। যেসব দেশ জ্বালানি তেল উৎপাদন করত সেইসব দেশ উৎপাদনের উপর রাশ টেনেছে। ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা হুমকি পাচ্ছে ইরান। ভারত ‘তেল আমদানি নির্ভরশীল রাষ্ট্র’। যে সব দেশ তেল উৎপাদন করছে তাদের নিজেদের সমস্যা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তীব্র অস্থিরতা সত্ত্বেও আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পেট্রোল দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইউপিএ-র আমলে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০.৪ শতাংশ। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তা নেমেছে ৪.৭ শতাংশ।