BRAKING NEWS

রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিতে কারিগরী শিক্ষায় আগ্রহ কমছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট ৷৷ কারিগরী বিদ্যায় এরাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনীহা তৈরি হচ্ছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে খালি আসনের পরিমান দেখলে এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক৷ বিষয়টি রাজ্য সরকারকেও ভীষণ চিন্তায় ফেলেছে৷ তাই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা করেছেন৷ কলেজগুলি ছাত্রসংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে চাকুরী সুনিশ্চিত করতে হবে, সেদিকে এখন বিশেষ নজর দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার৷

শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথের কথায়, নরসিংগড়স্থিত টিআইটি’তে ২৩০টি আসনের মধ্যে ১৮৩ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে৷ বাকি আসন খালি পড়ে রয়েছে৷ একই অবস্থা ওমেন্স পলিটেকনিক কলেজেও৷ সেখানেও ১৪০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৮৪ জন ভর্তি হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী সাথে যোগ করেন, আমবাসাস্থিত পলিটেকনিকে ১২০টি আসনের মধ্যে ৯৫ জন ভর্তি হয়েছে, উদয়পুরস্থিত পলিটেকনিকে ১৮০টি আসনের মধ্যে ১৪৭ জন ভর্তি হয়েছে, বাগবাসাস্থিত পলিটেকনিকে ১৮০টি আসনে ৯৬ জন ভর্তি হয়েছে এবং খুমুলুঙস্থিত পলিটেকনিকে ১৮০টি আসনে ১৬৬ জন ভর্তি হয়েছে৷ বাকি আসনগুলি এখনো খালি পড়ে রয়েছে৷

শিক্ষামন্ত্রী এদিন উদ্বেগের সুরে বলেন, কিছু কিছু স্ট্রিমে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সংখ্যা খুবই কম৷ তাঁর কথায়, টিআইটি’তে ফুড প্রসেসিং স্ট্রিমে ২০টি আসনের মধ্যে মাত্র একজন ভর্তি হয়েছে৷ তেমনি অটোমোবাইল স্ট্রিমে ২০টি আসনের মধ্যে মাত্র ১০ জন ভর্তি হয়েছে৷ ওমেন্স পলিটেকনিকে ফ্যাসন টেকনোলজি স্ট্রিমে ২০টি আসন পুরোটাই খালি পড়ে রয়েছে৷ এই সমস্ত কারণে মনে হচ্ছে, রাজ্যের কলেজগুলিতে কারিগরী বিদ্যায় পড়াশুনাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনীহা তৈরি হচ্ছে, বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷

তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি খুবই চিন্তাজনক৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, খুব শীঘ্রই টেকনিক্যাল এডুকেশনের জন্য পৃথক ডিরেক্টরেট গঠন করা হবে৷ তাতে, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এন্ড এনভিরেনমেন্ট, স্কিল্ড ডেভলপমেন্টকে যুক্ত করা হবে৷ তাঁর বক্তব্য, পূর্বোত্তরে একমাত্র ত্রিপুরাতে উচ্চ শিক্ষার সাথে টেকনিক্যাল এডুকেশন যুক্ত রয়েছে৷ এবিষয়ে এক তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, আসামে ১৯৫৯ সালে, অরুনাচল প্রদেশে ১৯৯৬ সালে, মেঘালয়ে ২০০৯ সালে, মণিপুরে ১৯৭৪ সালে, মিজোরামে ১৯৮৯ সালে, নাগাল্যান্ডে ২০০৯ সালে এবং সিকিমে ১৯৯৮ সালে পৃথক টেকনিক্যাল ডিরেক্টরেট গঠন করা হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর মতে, টেকনিক্যাল এডুকেশনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলে এরাজ্য নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *