নয়াদিল্লি, ১৭ আগস্ট (হি.স.) : দেশের প্রথম হিন্দু আদালত প্রতিষ্ঠা করল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। মুসলিমদের শরিয়ত আইন কার্যকর করার জন্য নিজস্ব আদালত আছে, কিন্তু হিন্দুদের জন্য আলাদা করে তেমন কোনও আদালত ছিল না। এবার তাঁর ব্যতিক্রম ঘটল। উত্তরপ্রদেশের মীরাটে দেশের প্রথম হিন্দু আদালত প্রতিষ্ঠা করল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। আদালতের বিচারপতিও নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কেন্দ্রীয় সচিব পূজা শকুন পাণ্ডে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২ অক্টোবর হিন্দুদের নিজস্ব আইন এবং নিয়মকানুন ঘোষণা করবে এই হিন্দু কোর্ট। মহাসভার তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, নিজস্ব জেল এবং ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থাও করবে হিন্দু মহাসভা। সেদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত আরও পাঁচটি আদালত স্থাপন করা হবে এবং পাঁচজন বিচারপতি নিয়োগ করা হবে।
হিন্দু মহাসভার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শরিয়ত আদালতের বিরোধিতা করে এসেছেন তাঁরা। এক দেশ এক আইনের পক্ষেই ছিলেন তারা। সরকারকে বারবার শরিয়ত আদালত বাতিল করতে অনুরোধও করা হয়েছিল হিন্দু মহাসভার তরফে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ না হওয়ায় হিন্দুদের আলাদা আদালত তৈরির পরিকল্পনা। সংস্থার দাবি, জমি জমা, পূজা-অর্চনা, হিন্দু বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলাগুলির সমাধান করা হবে এই আদালতে। অপরাধী প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির নির্দেশ দিতে পারবে এই হিন্দু আদালত। যদিও, আদালতের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার দাবি, নিজস্ব আইনে বিচার করা হলে গোটা দেশের হিন্দুদের একত্রিত করা অনেক সহজ হবে। তাছাড়া, ফৌজদারি বা দায়রা আদালতগুলিতে এমনিতেই হাজারো মামলা ঝুলে রয়েছে। এই আদালতগুলিতে গরিব মানুষের বিচার পেতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। হিন্দু আদালতগুলিতে আলাদা বিচার করা হলে, দায়রা আদালতগুলিতে মামলার বোঝাও কমবে।