তিরুবন্তপুরম, ১৫ আগস্ট (হি.স.) : কেরলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা৷ রানওয়ে পুরোপুরি জলের তলায়৷ ফলে কোনও বিমান ওঠানামা করতেপারছে না৷ বেশ কিছু বিমানকে কোঝিকোড় ও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর দিয়ে অবতরণ করানো হচ্ছে৷ তবে তা সংখ্যায় বেশ কম৷ টানা বৃষ্টির জেরে স্বাধীনতার পর থেকে এত বড় বন্যা কেরলেহয়নি৷ কেরলের জেলাগুলি পুরোপুরি জলের নীচে৷ বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৷ ১৪ জেলার মধ্যে ১১টি পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে৷ কেরালার বিভিন্ন প্রান্ত জলমগ্ন৷
আপাতত বানভাসিদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ন৷ যাঁরা নিজেদের জমি ও ঘর দুটোই হারিয়েছেন তাঁদের মোট ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়াহচ্ছে৷ যেখানে ৬ লক্ষ টাকা জমি কেনার, ৪ লক্ষ টাকা বাড়ি বানানোর৷ বন্যার্তদের মধ্যে যাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গিয়েছে তাদের বিনামূল্যে নথি তৈরির আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন৷ বন্যাবিধ্বস্তপ্রত্যেক ত্রাণ শিবিরে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে৷ রাজ্যের স্কুলগুলিতেও আশ্রয় নিয়েছেন বন্যার্তরা৷ চারদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে কোচি বিমানবন্দর৷ কোচি বিমানবন্দর পেরিয়ার নদীর তীরেরকাছে অবস্থিত৷ ফলে নদীর জল বিপদসীমার ওপরে দিয়ে বয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে বিমানবন্দরেও৷ ইদ্দুকি বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুন্নার সহ পার্বত্য এলাকাগুলিতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ ক্রমাগত ধ্বস ও জলস্তর বৃদ্ধির খবর মিলছে৷ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ৪০০ কোটিআর্থিক সাহায্য চেয়েছেন৷ ত্রাণ থেকে পুনর্বাসন কেন্দ্র সব খাতে কেন্দ্রকে পাশে থাকার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর৷ এখনও পর্যন্ত বন্যা বিপর্যস্ত কেরলে ২০ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে৷ ১০ হাজার কিলোমিটারসড়ক নষ্ট হয়েছে৷ ট্যুইট করেও বন্যায় আট হাজার কোটির আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
কেরলের প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে ‘ব্যতিক্রম বিপর্যয়’ঘোষণা করা হোক বলে কেন্দ্রে কাছে দাবি করেছে কেরল প্রশাসন৷ রবিবার কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথসিং৷ বন্যাবিধ্বস্ত কেরলের জন্য সেদিনই ১০০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র৷ যা পর্যাপ্ত নয় বলে জানাচ্ছে কেরল সরকার৷