BRAKING NEWS

বিশ্বহিন্দু পরিষদের কার্যকর্তাকে বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরীর ধমক, বিতর্ক তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ সবকা সাথ সবকা বিকাশ’, নরেন্দ্র মোদীর এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র করে হিন্দু-মুসলিম, জাতি-উপজাতির বিভেদ ভুলে নতুন ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জোরালো বয়ান রাখলেন মজলিশ কেন্দ্রের বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী। নির্বাচনের আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে বিজেপিতে এসে বিধায়ক হন সুশান্ত চৌধুরী।

বিশ্বহিন্দু পরিষদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনিক এ সম্পর্কিত বার্তালাপ এখন সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিধায়কের এই বার্তালাপ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বিশ্বহিন্দু পরিষদের জনৈক কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্যও বিধায়ক বলেছেন। তিনি মনে করেন, দেশের উন্নতি, রাজ্যের উন্নতি হতে গেলে বিভেদ নয় হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়া তিনি আরও বলেন, রাজ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দলের নাম ভাঙিয়ে দুষ্কৃতকারীদের কাছে নিজেদেরকে আত্মসমর্পণ করে থাকে। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
শনিবার রাতের এই বার্তালাপে তিনি তাঁর কেন্দ্রের সকল নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, অশান্তি সৃষ্টি নয়, শান্তি বাজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মজলিশপুর কেন্দ্র থেকে কিছু রিপোর্ট এসেছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে এ সব বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি জানতে পেরেছেন, কিছুদিন আগে সেখানে একটি খাসজমিতে মসজিদ করার জন্য চেষ্টা করছেন শঙ্করবাজারের মুসলিম অংশের মানুষ। কিন্তু এর মধ্যে বিশ্বহিন্দু পরিষদের নাম করে কয়েকজন গিয়ে সেখানে পতাকা লাগিয়ে দিয়ে এসেছেন।

তাছাড়া অপর এক ঘটনায় শঙ্করবাজারের মুসলিম অংশের এক বাড়ির বিয়েতে গোমাংস রান্না হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্বহিন্দু পরিষদের লোকজনরা নাকি সে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই পরিবার নাকি ক্ষমা চেয়ে কোনওক্রমে রক্ষা পায়।
বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কোনও একটি জাতি গোষ্ঠী কিংবা ধর্মীয় গোষ্ঠী নির্দ্বিধায় তাঁদের ধর্মাচরণ এবং খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ সংবিধান গো-মাংসকে নিষিদ্ধ করেনি। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় কখনও কোনও সময়ে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ ছিল না। ফলে নতুন করে এর আমদানি করলে রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টি হবে। যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না। রাজ্যের বিজেপি সরকার এ জাতীয় হামলা-হুজ্জতিতে বিশ্বাস করে না। বরং সবাইকে নিয়ে সবকা সাথ সবকা বিকাশের পথে চলার অঙ্গীকার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *