BRAKING NEWS

আলওয়ার কাণ্ডে পাল্টা ট্যুইট করে রাহুলকে খোঁচা বিজেপির

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই (হি.স.): আলওয়ার গণপিটুনি কাণ্ডে বিজেপির নিন্দায় সরব হয়ে ট্যুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তারপর পাল্টা কংগ্রেস সভাপতির নিন্দায় ট্যুইট করেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
সোমবার মাইক্র ব্লগিং সাইট ট্যুইটারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে লেখেন, ‘মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে থাকা হাসপাতালে গণপিটুনিতে আহত রাকবর খানকে নিয়ে যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগল পুলিশের। কারণটা হল তারা গাড়ি থামিয়ে চা পান করছিল। এটাই হচ্ছে মোদীর নৃশংস ‘নতুন ভারত’ যেখানে ঘৃণা মানবিকতাকে হটিয়ে দিয়েছে। মানুষকে পিষে তাকে হত্যার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।’ এরপরেই পাল্টা রাহুল গান্ধীর নিন্দায় সরব হন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, অপরাধের ঘটনা ঘটলেই আনন্দে লাফানোটা বন্ধ করুন। রাজ্য দ্রুত এবং কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যে কোনও উপায়ে আপনি সমাজকে বিভাজন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর তারপর কুম্ভীরাশ্রু ফেলছেন। অনেক হয়েছে। আপনি ঘৃণার সওদাগর।
রেলমন্ত্রী পর এই প্রসঙ্গে একই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে ট্যুইট করে বিধলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন’৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে স্মৃতি ইরানি ট্যুইটে লেখেন, ১৯৮৪ সালে ঘৃণার নিকৃষ্টতম ধরণ রাহুল গান্ধীর পরিবারের নেতৃত্বে সংগঠিত করা হয়েছিল। ভাগলপুর, নেল্লি এবং আরও এমন বহু উদাহরণ রয়েছে। লজ্জার বিষয় সেই একই পন্থা রাহুল গান্ধী অবলম্বন করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিক ফয়দায় ব্যবহার করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধীর এই রাজনীতিকে ‘ভালচার রাজনীতি’ বা শকুনের রাজনীতি হিসেবে অভিহিত করেছেন স্মৃতি ইরানি।
বিজেপির তরফ থেকে ট্যুইট করে রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে বিধে লেখা হয়, ৭০ ধরে বছর ভালবাসার নাটক। বন্ধ করো এ মিথ্যা ফটক। জড়িয়ে ধরে, চোখ মেরে, কি ভাবে এগুলি করতে পারো। যখন দেশ বদলতা চায় তখন তুমি ওকে ভুল পথে নিয়ে গিয়েছ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *