পাথারকান্দি (অসম), ১ জুলাই, (হি.স.) : সাম্প্রতিক বন্যাবিধ্বস্ত বরাক উপত্যকার পরিস্থিতি সচক্ষে দেখতে এসে গত ২৪ জুন দুর্গতদের সাহায্য করার পাশাপাশি বন্যাক্রান্ত জীবজন্তুগুলোকেও সম্পূর্ণ সুবিধা ও যাবতীয় পরিষেবা দিতে জেলা প্রশাসন ও পশুপালন বিভাগকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। সেদিন তিনি পশুপালন অধিকর্তাকে বরাক উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়ে তিন জেলার বন্যা প্রভাবিত জীবজন্তুকে খাদ্যসামগ্রী-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ কাজে এসেছে।
পাথারকান্দির বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে ময়দানে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে পশু চিকিৎসা দফতরের সর্বস্তরের কর্মী বন্যাক্রান্ত পশুসম্পদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন অঞ্চলে পশু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল শনি ও আজ রবিবার রাধাপ্যারী বাজার এবং হাতিখিরা বাগানে দুটি পশু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবারের শিবিরে এলাকার গোপালপুর, পিংছড়া, হরিবাসর, সাধুকুটি, বৈঠাখাল প্রভৃতি গ্রামের চার শতাধিক গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পথ্য তুলে দেন পশু চিকিৎসা বিভাগের কর্মীরা। অনুরুপভাবে আজ হাতিখিরা চা বগানে অনুষ্ঠিত পশু চিকিৎসা শিবিরে এলাকার ডেঙ্গারবন্দ, আসাইঘাট, পেচারঘাট ও হাতিখিরা এলাকার বিভিন্ন ফাঁড়ি বাগানের প্রায় পাঁচ শতাধিক গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেন পশু দফতরের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-কর্মীরা।
পশু চিকিৎসক ডা. তাজউদ্দিন খান এ ব্যাপারে জানান, পাথারকান্দিতে পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি পশু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হবে। শিবিরগুলো যথাক্রমে লোয়াইরপোয়া, ইচাবিল এবং বাজারিছড়া। এছাড়া পাথারকান্দি পশু হাসপাতালে জেলা ভেটেরিনারি দফতরের ব্যবস্থাপনায় গবাদি পশুর জন্য নানা ওষুধপত্র নিয়মিত বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।