BRAKING NEWS

মিলনচনেক্র মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভকে গুলি করে হত্যা, ধৃত এক , উদ্ধার পিস্তল সহ তাজা কার্তুজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুন৷৷ রাজধানী আগরতলার কাছে মিলনচক্রে খুন হলেন এক ব্যক্তি৷ পেশায় তিনি মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ এবং বিজেপির নয়া আঞ্চলিক কমিটির নেতা৷ বাড়ির কাছে গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে৷ পুলিশের ধারণা, এই ঘটনার পিছনে নিগোসিয়েশন কারবারের যোগ রয়েছে৷ শুরু হয়েছে তদন্ত৷ এই খুনের ঘটনাকে ঘিরে আগরতলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ পাল৷ বয়স ছত্রিশ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মিলনচক্র আদর্শপল্লিতে৷ জানা গিয়েছে বিশ্বজিৎবাবু কোনও এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন৷ যদি এখনো হত্যাকান্ডের পিছনে মূল কারণ কী হতে পারে তা স্পষ্ট হয়নি৷ তবে পুলিশ প্রাণজিৎ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ প্রাণজিতের কথা অনুযায়ী এলাকারই একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ পাল পেশায় একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ ছিলেন৷ এছাড়া তিনি প্রথমে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কিছুদিন পূর্বে বাম রাজনীতি ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন৷ তিনি বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪৬ নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন৷ বাড়িতে তাঁর মা, বাবা, স্ত্রী, ছোট ভাই এবং নয় বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে৷ ঘটনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এদিন রাতে বিশ্বজিৎ বাড়িতে আসার পর তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে৷ সেই ফোন পেয়ে কিছুক্ষণ পর তিনি বাড়ি থেকে সুকটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন৷ বাড়ি থেকে কিছুদূর যেতেই কে বা কারা তার উপর গুলি চালিয়ে দেয়৷ ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ গুলির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজনরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসেন৷
কিন্তু, ততক্ষণে আততায়ী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসনে বিশ্বজিৎবাবুর মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ৷ তদন্ত শুরু করে তারা৷ নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড এবং আসেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ টিমও৷ মৃতদেহের পাশেই পিস্তলের গুলির একটি খোল উদ্ধার করা হয়৷ তাতে নিশ্চিত যে বিশ্বজিৎকে খুব কাছে থেকে গুলি করা হয় এবং আততায়ী তার পরিচিতদের মধ্যে কেউ৷ তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধৃত ব্যক্তির নাম প্রাণজিৎ ভৌমিক৷ এদিকে, পুলিশ ওই ধৃত ব্যক্তি প্রাণজিৎ ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে৷ জানতে চাইছে এই ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে৷ প্রাণজিৎ পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছে তাতে সে দাবি করেছে ভুল বশতঃ তার হাত থেকেই পিস্তলের গুলি বের হয়ে যায়৷ পুরোটাই অনিচ্ছাকৃত৷ তবে পুলিশ তার এই দাবি খতিয়ে দেখছে, এমনো হতে পারে ধৃত প্রাণজিৎ ভৌমিক নিজেকে বাঁচানোর জন্য হয়তো এই গল্প রটনা করছে৷
এদিকে, এ ডি নগর থানার পুলিশ প্রাণজিৎ ভৌমিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের কাছেই একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও পাঁচ রাইন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে৷ প্রসঙ্গত, শহর আগরতলা ও শহরতলীতে একের পর এক হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে৷ চন্দ্রপুরে আইএসবিটির সামনে জাতীয় সড়কে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে৷ তার রেশ কাটতে না কাটতেই মিলনচক্রে গুলি করে হত্যা৷ প্রশ্ণ উঠেছে শহরে এতো পরিমানে আগ্ণেয়াস্ত্র পৌঁছল কিভাবে৷ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীবাসীর মধ্যে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *