নিজস্ব প্রতিনিধি, নতুনবাজার, ৮ জুন ৷৷ ভুল বোঝাবুঝি ও কুসংস্কারের বশে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ ঘটনা করবুক মহকুমারের অধিন শীলাছড়ি ব্লকের অধীন ঘোড়াকাপ্পা এডিসি ভিলেজে-এর আনবন্ধু পাড়ায়৷ ভুল বুঝাবুঝির কারণে বা সন্দেহ অথবা কু-সংস্কার জনিত কারণে পাড়ার মোট জনগণের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে যায়৷ ফলে গালমন্দ, দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি, ঘর বাড়ি পুঁড়িয়ে দেবার হুমকি, এমন কি পাড়া থেকে উচ্ছেদ পর্যন্ত করে দেবার হুমকি দেওয়া হয়েছে একে অপরকে৷
ঐ আনবন্ধু পাড়ার খমপ্রতি ত্রিপুরা (৭৪) তিনি গত ১৫/০৫/১৮ ইং মে তারিখে অন্যান্য দিনের মতে সকালে বনের সব্জি আলু সংগ্রহ করতে গিয়েছিল৷ আর ফিরে আসেনি৷ নগেন্দ্র ত্রিপুরা এবং খমপ্রতি ত্রিপুরার জমির লোঙা মাঝামাঝি সিমানার খমপ্রতির মৃতদেহ পাওয়া যায়ে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ভুল বুঝাবুঝি ও কু-সংস্কার এর জোর লড়াই৷ খমপ্রতির পক্ষের লোকেদের ভাবনা যে উনাকে তাবিজ বা বাঁন দিয়ে মারা হয়েছে৷ তার জন্যে সন্দেহের আঙ্গুল তুলেন ঐ পাড়ার ধন্য মোহন ত্রিপুরার (৭০) বিরুদ্ধে৷ কু-সংস্কার সম্পূর্ণ্য পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ তারপর কিছুটা রাজনীতিতে প্রবেশ করে৷ সব মিলিয়ে আনবন্ধু পাড়া রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ কখন যানি কার কি হয়, কেউ কেউ রাতে বনেও লুকিয়ে থাকেন৷
এই সমস্ত অশান্তির খবর চলে যায় শিলাছড়ি থানায়৷ শিলাছড়ি থানার পুলিশ রাত্রে দিনে টহল শুরু করে৷ তারপর ওসি ও চেষ্টা করেছিলেন বিষয়টি মিমাংশা করার, কিন্তু হয়নি৷ পরে গতকাল করবুক মহকুমা শাসকের গোচরে বিষয়টি নেওয়া হয়৷ শীলাছড়ি থানার ওসি, এসডিএম বিচক্ষনতার সঙ্গে উদ্যোগ নেন৷ গতকাল আনবন্ধু পাড়া সুকল মাঠে পুলিশের প্রয়াসের আহ্বানে একে অপরের কথাবার্তা আলাপ আলোচনা থেকে আসে যে পাড়ার ধন্যমোহন ত্রিপুরা নাকি মেরেছে মন্ত্র শক্তিতে এবং কেহ বলেন ওনি পাথরের মধ্যে তাবিজ লিখে মাটির নিচে রেখে দিয়েছেন প্রভৃতি৷ পরে প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ চলে এলাকার লোকদেন নিয়ে বৈঠক৷ বৈঠকে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় যে সবই ভুল বোঝাবুঝি৷ পরবর্তী সময়ে পরস্পরে আলিঙ্গন করে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির ইতি হল৷