BRAKING NEWS

গতবারের তুলনায় এবারে রেগায় শ্রমদিবস বেশী তবুও অভাবের অভিযোগ কোন যুক্তিতে, প্রশ্ণ উপমুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুন ৷৷ চলতি অর্থ বছরে রেগায় এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৮৪টি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে৷ অথচ, বিভিন্ন

বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা৷ ছবি নিজস্ব৷

সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিরোধী দলের তরফে পাহাড়ে খাদ্যের অভাব, রেগার কাজ বন্ধ এবং খাদ্যের অভাবে রাজ্যের মানুষকে বাংলাদেশে চলে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে৷ যদিও এরকম অভিযোগের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই তাদের কাছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রীর দাবী, গত অর্থ বছরে ৩১ মে পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছিল৷ তাই তাঁর কটাক্ষ, গত বছর শ্রমদিবস কম সৃষ্টি হয়েও রাজ্যে কোন অভাব দেখা দেয়নি৷ অথচ, এবছর শ্রমদিবস গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন সৃষ্টি হয়েও বিরোধীদের মতে রাজ্যে কাজ ও খাদ্যের অভাব লেগেছে৷ তাই উপমুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ জানান, যদি তাদের কাছে এমন কোনো সঠিত তথ্য থাকে তাহলে সরকারের নজরে আনুন৷ বৃহস্পতিবার মহাকরণের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সংবাদিক সম্মেলনে রেগায় কাজের তথ্য তুলে ধরে বিরোধীদের এইভাবেই বিধেঁছেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷

তাঁর কথায়, বর্তমান সরকার হচ্ছে রাজ্যের সকল জনগণের সরকার৷ এখানে লুকোচুরির কোনো ব্যাপার নেই৷ নতুন সরকার গঠনের দিনেই আমরা রাজ্যবাসীকে স্বচ্ছ সরকার উপহার দেওয়ার কথা বলেছিলাম৷ কারণ, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী৷ তাঁর দাবি, মানুষ ও সরকারের মধ্যে যাতে কোনো ধরণের প্রাচীর না আসে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার৷ বিগত সরকারের আমলে সরকার ও জনগণের মধ্যে প্রাচীর লক্ষ্য করা গেছে৷ ফলাফলে তা প্রতিফলিত হয়েছে৷ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করে উপ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ এ রাজ্যে সরকার পরিবর্তন করেছেন৷ কারোর দয়ায় তা হয়নি৷ তাই, বর্তমান সরকার জনগণকে পাশে নিয়ে কাজ করছে৷

উপমুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের আজকে পর্যন্ত রেগায় ১০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৮৪ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে৷ এর মধ্যে ধলাই জেলায় ২ লক্ষ ৬৬ হাজার, গোমতী জেলায় ৩৯ হাজার, খোয়াই জেলায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার, উত্তর ত্রিপুরায় ৬৯ হাজার, সিপাহীজলা জেলায় ১ লক্ষ ৬ হাজার, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার, ঊনকোটি জেলায় ১ লক্ষ ৯ হাজার এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৬৩ হাজার শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ধলাই জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে থেকেই এম জি এন রেগার কাজ শুরু হয়েছে৷ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে কেন্দ্রীয় শেয়ারের ১৩২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে এবং রাজ্য সরকারের শেয়ার ৪১ কোটি ৫৮ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে৷ ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে মোট ১৭৩ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা এম জি এন রেগার জন্য রিলিজ  করা হয়েছে৷

উপমুখ্যমন্ত্রীর আরো দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস (গ্রামীণ) এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৭৩৪ টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে৷ ১০ হাজার ৩৪৫ জন সুবিধাভোগীকে তৃতীয় তথা ফাইনাল ইনস্টলমেন্ট রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ এতে ব্যয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৯৬ হাজার টাকা৷ উপমুখ্যমন্ত্রীর মতে, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হল মানুষকে সঠিক তথ্য প্রদান করা৷ সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ঠিক নয়৷ সরকার উন্নয়নমূলক কাজে কোনো দ্বিধা করবেনা৷ উন্নয়নমূলক কাজে বিরোধী দলের সদস্যদের সহযোগিতা করা উচিত বলে উপমুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *