BRAKING NEWS

ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করবে না সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ১৭ মে (হি.স.) : কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বি এস ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ করা হবে না বলা স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য কংগ্রেস এবং জেডি(এস) সুপ্রিম কোর্টের কাছে বুধবার গভীর রাতে পিটিশন জমা দিয়েছিল। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার ভোররাত ২টো ১০মিনিট নাগাদ শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় কোনও রকমের অন্তবর্তী নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি এস এ বোবডে এবং বিচারপতি অশোক ভূষণকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছেন আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৮ মে ফের এই পিটিশনের শুনানি হবে।
কংগ্রেসের তরফ থেকে আইনজীবী আভিষেক মণু সিংভি আদালতে বলেন, সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে ডাকার যে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল নিয়েছেন তা ভুল। তখন তিন বিচারককে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বলেন রাজ্যপাল নিজের বিবেকাধীন ক্ষমতার ব্যবহার করেছেন। এতে আমরা কি করে হস্তক্ষেপ করব? তখন ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আইনজীবী আভিষেক মণু সিংভি দাবি করেন বি এস ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণের উপর দুই দিনের স্থগিতাদেশ জারি করে দিতে। অন্যদিকে অ্যার্টনি জেলারেল কে কে বেণুগোপাল তখন ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন, এটি আইনি সওয়াল নয়। আমরা জানি না রাজ্যপাল তথ্যাবলি দেখেছেন কিনা। পিটিশনটি অনুমানের উপর ভিত্তি করে দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে আদালতে উপস্থিত আইনজীবী মুকুল রোহতগী জানিয়েছেন, আদালতের এই মামলাটি শোনাটা উচিত ছিল না। তাও আবার রাতে। শেষবার ইয়াকুব মেননের মামলায় এইরকম শুনানি চলেছিল।
ডিভিশন বেঞ্চের তরফ বলা হয় যে যদি কোনও ছোট দল হতো তবে বিষয়টি আলাদা ছিল। কিন্তু এখানে বিজেপি বড় দল হলেও। দুইটি দল(কংগ্রেস এবং জেডিএস) সংখ্যায় বিজেপির থেকে বেশি। তখন অ্যার্টনি জেলারেল বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যেই জানা যাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোন দলের সবচাইতে বেশি। কংগ্রেসের আইনজীবী আভিষেক মণু সিংভি বলেন, ইয়েদুরাপ্পার কাছে বৈধ কাগজ না থাকার জন্য শুনানি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে। ওরা উকিল পাঠাতে পারে অথচ কাগজ পাঠাতে পারে না। এটা ওদের বাহানা। তখন আইনজীবী মুকুল রোহতগী বলেন, আমি ঘুরিয়ে দেওয়ার কথা বলছি না। খারিজ করে দেওয়ায়র কথা বলছি। রাত ১০টার পর পিটিশন দায়ের করে পুরো কাগজ চাইছে। আদালতের যদি মনে হয় তবে ইয়েদুরাপ্পাকে পদ থেকে সরিয়ে দিন। কিন্তু রাজ্যপালের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ এটা কেমন ধরণের দাবি। প্রশ্ন হচ্ছে কতদিনের মধ্যে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ভোর ৪তয়ে পর্যন্ত কি এর শুনানি চলবে?
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয় যে শপথগ্রহণের উপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না। পদে কেউ থাকবে কি থাকবে না এটা মামলার শেষে গিয়ে নিশ্চিত হবে। এখন কোনও রকমের অন্তরিম নির্দেশ দেওয়া যাবে না। পরে কংগ্রেসের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত শপথগ্রহণ বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়। তখন বিজেপির আইনজীবী বলেন আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। এমন ভাবে বলা হচ্ছে যাতে কারও ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। ইয়াকুবের সকাল ৬ টায় ফাঁসি হয়েছিল। আদালত রাত ২ থেকে ৫টা পর্যন্ত মামলা শুনেছিল। গরিষ্ঠতা ২-৩ দিন বাদেও ঠিক করা যাবে। তখন আদালত বলে, শপথগ্রহণের উপর কোনও রকম হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আদালত সবপক্ষকেই নোটিস জারি করেছে। সব পক্ষকে আদালত এই মামলা সংক্রান্ত নথি জারি করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ইয়েদুরাপ্পার সমর্থনে কতজন বিধায়ক রয়েছে তাদের নাম জমা দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *