BRAKING NEWS

সংখ্যালঘুদের প্রতি রাজ্য সরকার মেকি দরদ দেখাচ্ছে, অভিযোগ ‘আইমা’-র

কলকাতা, ৩০ এপ্রিল (হি. স.): পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সংখ্যালঘুদের প্রতি রাজ্য সরকার মেকি দরদ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করল ‘অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি এসোসিয়েশন’ (‘আইমা’)৷ সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ তোলে ৷
ক’দিন আগেই কলকাতায় ‘আইমা’-র ডাকে যুব সভায় সংগঠনে র সর্বভারতীয় সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আমিন বলেন, \”মুসলিম যুব সমাজকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই তোষণের নামে শোষণ আমরা চাই না, আমরা চাই সমান অধিকার। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪% মুসলিম কারোর ভোটব্যাংক বা কারোর দাবার ঘুঁটি না হয়ে মুসলিমরা নিজেরা যোগ্য় হয়ে নিজেরদের ক্ষমতা বুঝে নিন।\”
মুসলিম এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘আইমা’ সমস্ত নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত, মানুষদের এক ছাদের তোলাই আনার চেষ্টা করছে। তাই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে ‘আইমা’-র আওয়াজকে।
সোমবার ‘আইমা’-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় বদরুজ্জহা একই সুরে প্রেস ক্লাবে অভিযোগ করেন, “এবারের পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে সংখ্যালঘুদের। মেকি দরদ দেখিয়ে সরকার আমাদের অসম্মান করছে৷” গত ২০ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের কাছে শ্রীরামপুর কৃষি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের আবাসিক ছাত্রে শরিফুল গাজীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্তের দাবিও এ দিন জানায় ‘আইমা’৷ তাদের অভিযোগ, “উত্তর ২৪ পরগণার বাদুরিয়ার ওই ছাত্রর ব্যাপারে প্রশাসন নীরব, পুলিশ নিষ্ক্রিয়৷ রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে৷”
বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির নিন্দা করে ‘আইমা’-র সর্বভারতীয় সম্পাদক সম্প্রতি বলেছেন, বিজেপি সারা ভারতে মুসলিমের টার্গেট করছে, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে দাঙ্গা বাঁধিয়ে তাঁরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটে মুসলিম ও দলিতদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এর থেকে মুসলিম সমাজকে খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলই মুসলিমদের চয়েস বা ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করে।
এই সুরেই এ দিন ‘আইমা’-র প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, মুসলিমরা তাঁদের রাজনৈতিক দল গুলোর জন্য খুন হচ্ছেন খুন করছেন, মারামারি করছেন, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরে সেই দল গুলোই মুসলিমদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রতি ভুলে যাই। চাকরি, শিক্ষা ও সমাজের আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে মুসলিমরা এখনও অনেক অনেক পিছিয়ে। মুসলিমদের শুধুমাত্র ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরা কেউই মুসলিমদের বন্ধু নয়। এরা মুসলিমদের ব্যবহার করেন নিজেদের স্বার্থের জন্য। তাই তিনি কোনও রাজনৈতিক নেতার প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য মুসলিম সমাজকে সতর্ক করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *