BRAKING NEWS

গুজরাট হিংসা মামলায় প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী মায়া কোদনানিকে বেকসুর খালাস দিল অাদালত

আমেদাবাদ, ২০ এপ্রিল (হি.স.) : গুজরাটের প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী মায়া কোদনানিকে বেকসুর খালাস করল গুজরাট হাইকোর্ট৷ ২০০২ সালে গুজরাটের নারোড়া পাতিয়া মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, নারোড়া ও তার পরবর্তীতে গোধরা হিংসায় জড়িত ছিলেন এই মন্ত্রী৷ ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে অন্য এক আদালত৷ শাস্তিস্বরূপ ২৮ বছরের কারাদন্ড হয় মায়ার৷
বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানির সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বজরং দলের নেতা বাবু বজরঙ্গিও৷ আদালতের পক্ষ থেকে মায়াকে ২৮ বছর ও বাবুকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল৷ একই সঙ্গে অারও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হয়েছিল৷ কিন্তু মায়া ও বাবু আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন৷ বাবু বজরঙ্গির সাজার কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল হাইকোর্ট৷ কিন্তু মায়া কোদনানিকে বেকসুর খালাস করল গুজরাট হাইকোর্ট৷ এই মামলায় সম্প্রতি সাক্ষ্য দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। সে সময় প্রত্যাশা মতই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মায়া কোদনানির পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, ঘটনার সময় কোদনানি ওই এলাকায় ছিলেন না, সে সময় তিনি বিধানসভায় এবং পরে শোলা সিভিল হাসপাতালে ছিলেন।
গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হর্ষ দেবানি ও বিচারপতি এ এস সুরপেহিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়৷ গত অগাস্টে এই মামলার ফের আদালতে ওঠে৷
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা রেল স্টেশনে হিংসাত্মক ঘটনাটি ঘটে৷ সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে ৫৮ জনের প্রাণহানি হয়৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরঙ্গি দল গুজরাট বনধের ডাক দেয়৷ আমেদাবাদের নারোড়া পাতিয়া এলাকায় মোট ৯৭ জন মারা যান৷ পরদিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদে নারোড়া গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ জনকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে মায়া কোদনানির বিরুদ্ধে। এছাড়া সে সময় একাধিক হিংসায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকশো মানুষ মারা যায়। এই ঘটনায় ২০১২ সালের অগস্টে সিটের (বিশেষ তদন্তকারী দল) দায়ের করা মামলায় জড়িত থাকা বাবু বজরঙ্গিসহ ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। মায়া কোদনানিকে ২৮ বছর এবং বাবু বজরঙ্গিকে আজীবন কারাদণ্ড শোনায় বিশেষ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *