হায়দরাবাদ, ১৬ এপ্রিল (হি.স.) : কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে দেব গৌড়ার জনতা দল (সেকুলার )কে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইএমআইএম। সোমবার এই প্রসঙ্গে এআইএমআইএমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন, ‘কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে তার দল অংশগ্রহণ করবে না। আমরা জেডিএস-কে সমর্থন করব। জেডিএস যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বেশি আসনে জেতে তার জন্য নির্বাচনী প্রচার চালাবে এআইএমআইএম।’
এদিন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা চান দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া নেতৃত্বেই কর্ণাটকে পরবর্তী সরকার গড়ে তোলা হোক। অন্যদিকে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন, ‘জাতীয়স্তরের দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস এবং বিজেপি দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খা অনুযায়ী এবং চাহিদার অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর তাই পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অবিজেপি এবং অকংগ্রেস সরকারই দেশে স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১২ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণের এই রাজ্যে নিজেদের সরকার গড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। অন্যদিকে, দক্ষিণে নিজেদের একমাত্র গড়কে রক্ষা করতে কংগ্রেস সভাপতির ভরসা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু দুই পক্ষেরই চিন্তা দেব গৌড়ার দলকে নিয়ে। কারণ ভোট কাটাকাটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে দেব গৌড়ার দল। পাশাপাশি দেব গৌড়ার সঙ্গে জোট বেঁধে এই নির্বাচনে লড়বে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। এবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সমর্থনে শক্তি আরও বাড়ল জেডিএস-এর | কারন কর্ণাটকে মোট ভোটারের মধ্যে মুসলিম ১৩ থেকে ১৬%। ৩০টি শহুরে মুসলিম ভোট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ৯০-১২০টি আসনে মুসলিম ভোট ফ্যাক্টর। সাধারণত সংখ্যালঘু এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে ওয়াইসির দলের। পাঠিগণিতের হিসেবে, এআইএমআইএম লড়াই করলে সংখ্যালঘু ভোটে বিভাজনের সুবিধা পেত বিজেপি। লোকসান হত কংগ্রেসের। ফলে কর্ণাটক ভোটের আগে ধাক্কা খেল বিজেপি, মত অনেকের।