নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৯ মার্চ৷৷ বক্সনগরের রহিমপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ধৃত জামাত-এ- ইসলামি জঙ্গী আব্দুল সালেমকে জোর জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকম মন্ত্রকের পূর্বোত্তর অঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর কুলবিন্দর কুমারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যক একটি টিম এলাকা সফর করেছেন এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা সোনামুড়া মহকুমার এনসি নগর এবং মতিনগর এলাকা সফর করেছেন৷ খোঁজ নিয়েছেন সীমান্ত এলাকায় মোবাইল ও টেলি যোগাযোগর বিষয়গুলি৷ রহিমপুর থেকে ধৃত জঙ্গী কিভাবে টেলিকম সাজসরঞ্জাম ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল করেছে সেগুলি খতিয়ে দেখেন তারা৷ যদিও সরকারীভাবে কোন বিষয়ই তারা প্রকাশ করতে চাইছেন না৷ তবে, যতদূর জানা গিয়েছে, ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় রাজ্য পুলিশের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছিল সীমান্ত এলাকার কিছু নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেআইনীভাবে মোবাইলের সীম ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল করা হচ্ছে৷ বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি৷
রাজ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকা বক্সনগরের সীমান্তগ্রাম রহিমপুর থেকে ওই জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধৃত জঙ্গীকে আব্দুল সালেম বলে পরিচয় পাওয়া গেছে৷ তার বয়স আনুমানিক ৫০৷ সে বাংলাদেশের সক্রিয় জামাত-এ-ইসলামির সদস্য৷ তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে৷ সে জঙ্গী সংগঠেনর হয়ে টেলিকমিউনিকেশনের কাজ করত৷ উত্তর পূর্বাঞ্চল ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে তার নেটওয়ার্ক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ অসমের কয়েকটি এলাকায়ও তার সম্পর্ক থাকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ৷ ত্রিপুরা পুলিশের গোয়েন্দা শাকা তাকে গ্রেপ্তার করে তাদের নিজস্ব সেলে রেখেছে৷ তাকে থানায় রাখা হয়নি৷ তবে গোয়েন্দা পুলিশের কোনও আধিকারীকই ধৃত আব্দুল সালামের বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাতে চাইছেন না৷ তবে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ ধৃত আব্দুল সালামের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে টেলিকমিউনিকেশনের অত্যাধুনিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়ছে৷ পুলিশের ধারণা, ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে জঙ্গী নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল৷ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় তার যোগাযোগ রয়েছে৷ তবে সে ভারতীয় নাগরিক কিনা তার কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷