নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গঠন হবেই৷ দৃঢ় বিশ্বাস সিপিএমের৷ কিন্তু, এবিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা
মিলেনি দলের রাজ্য কমিটির রিপোর্টে৷ তাই, একদিকে যেমন অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গঠন হবেই, সেবিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয় সিপিএম৷ তেমনি, আসন বাড়বে না কমবে এনিয়েও অন্ধকারে বিজনবাবুরা৷ তাই, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর মেনে নিয়েছেন, নির্বাচনে জয় ভোটারদের উপর নির্ভর করবে৷ সাথে যোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অব্যবস্থাপনার জন্য নির্বাচনের কাজে নিযুক্তদের উপর অনাস্থার কোন প্রশ্ণ আসে না৷ তবে, তাঁদের কাজকর্মের সমালোচনা করেছে দল৷
এদিন ঘন্টা দুয়েকের জন্য সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এবিষয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট রাজ্য কমিটিতে পেশ হয়েছে৷ তাতে দল দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত, অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গঠন হবেই৷ শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের জন্য যাঁরা নির্বাচনী সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা জয়ী হবেন৷ তাঁর কথায়, রাজ্য কমিটিতে এদিনের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে৷
রাজ্য কমিটির রিপোর্টে জয় নিশ্চিত হলেও, গণনার দিন নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারেনি সিপিএম৷ বিজনবাবুর কথায়, গণনার তারিখ যত এগিয়ে আসছে বিজেপি-আইপিএফটি দুসৃকতিরা ততই নানাভাবে উস্কানি দিচ্ছে৷ জম্পুইজলায় যে পরিস্থিতি তাতে শান্তিপূর্ণ গণনা হবে বলে মনে করেন না বিজনবাবু৷ তাই, তিনি আবারও নির্বাচন কমিশনের কাছে জম্পুইজলায় গণনা কেন্দ্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন৷ সাথে যোগ করেন, যদি এই দাবি কমিশন বিবেচনা না করে, তাহলে গণনার দিন জম্পুইজলা সহ সারা রাজ্যে সমস্ত গণনা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে৷
এদিন বিজন ধর জয় সম্পর্কে নিশ্চিত দাবি করলেও, আসন সংখ্যা বাড়বে না কমবে সে বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি৷ তাঁর কথায়, আসন সংখ্যা বাড়বে না কমবে সেবিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না৷ কারণ, এবিষয়ে এই মুহুর্তে বলার কোন সুযোগ নেই৷ তাঁর মতে, ৯৯.৯৯ শতাংশ জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হলেও, ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা ভোটারদের উপর নির্ভর করে৷
এদিকে, বিজনবাবু এদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর কিছুটা নরম করেছেন৷ নির্বাচনের কাজে নিযুক্তদের প্রতি অনাস্থা সম্পর্কে বিজনবাবুর সাফাই, তাঁদের উপর আস্থা নেই এমনটা কখনও বলেনি, তবে নির্বাচনের কাজে অব্যবস্থাপনার জন্য তাঁদের সমালোচনা করেছি৷ এবিষয়ে তাঁর যুক্তি, ভোটের দিন ভোটাররা ভিষণভাবে অপদস্ত হয়েছেন৷ সমস্ত ক্ষেত্রে অব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে৷ যে কারণে পুনঃভোট করতে হচ্ছে৷ তাঁর মতে, সুষ্ঠ নির্বাচন করতে গেলে কমিশনের কিছু পূর্ব শর্ত পালন করতে হয়৷ তা যথাযথ পালিত না হলেই সমস্যার তৈরি হয়৷ তাঁর কথায়, নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত অধিকাংশরাই নতুন৷ ফলে, ভোটের দিন মানুষ প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছেন৷ তা সত্বেও তাঁরা বিরাট সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন৷ বিজনবাবুর মতে, আমরা সমালোচনা করেছি সেটা বড় কথা নয়৷ কিন্তু, ভোটারদের পুনঃভোটে একদিকে সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে৷ পাশাপাশি, নির্বাচনী অব্যবস্থার ফলে যে ত্রুটি হয়েছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাতে হবে৷