রাজ্যপালের সাথে কেন দেখা করেননি ডিজিপি ও মুখ্যসচিব, স্পপষ্টিকরণ দাবী করল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জানুয়ারী৷৷ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ মহানির্দেশককে রাজ্যপালের তলব এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁদের রাজভবনে না যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল এবং প্রশাসনে ব্যাপক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে৷
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানকে যদি রাজ্যপালের সাথে দেখা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি নিতে হয় তাহলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যে কতটা স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে৷ অন্যদিকে,

এদিন মহাকরণে অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তিনি এসম্পর্কে কিছুই জানেন না৷
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ মহানির্দেশকের কাছ থেকে স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বিজেপি৷ বিধায়ক রতনলাল নাথ এবং প্রাক্তন মন্ত্রী রতন চক্রবর্তী মঙ্গলবার রাতে বিজেপি’র প্রদেশ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘটনায় তাঁদের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে৷ বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের৷ বিধায়ক রতন লাল নাথ বলেন, রাজ্যপালের দ্বারাই প্রশাসনিক কর্মকান্ড চলে৷ আর রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য করার কোনও এক্তিয়ার নেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ মহানির্দেশকের৷ মুখ্যমন্ত্রী কী নির্দেশ দিলেন না দিলেন এটা বিবেচ্য বিষয় নয়৷ মুখ্যমন্ত্রীও এভাবে নির্দেশ দিতে পারেন না৷ অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী রতন চক্রবর্তী বলেন, দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে, এমন কি ত্রিপুরায়ও এমন ঘটনা ইতোপূর্বে কখনও হয়নি৷ রাজ্য প্রশাসন যে পুরোপুরিভাবে পার্টির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে তাই এর প্রমাণ৷ রাজ্যের সাংবিধানিক ব্যবস্থা এতে ভেঙে পড়েছে৷ বিজেপি এই ইস্যুতে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ মহানির্দেশকের কাছ থেকে স্পষ্টীকরণ চেয়েছে৷ পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, রাজ্যপাল এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন তা তাঁর বিষয়৷ কিন্তু এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে জবাব দিতেই হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *