শিমলা, ৩১ আগস্ট (হি.স.) : শিমলা গণধর্ষণ মামলায় ধৃত আট অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে ফরেনসিক পরীক্ষার তথ্যপ্রমাণ মিলছে না। ফলে তদন্ত নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে। প্রসঙ্গত, এই গণধর্ষণ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, প্রথমে গণধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ছয়জনের ও পরে দুইজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অভিযুক্তদের স্যালাইভা, চুল, রক্ত ইত্যাদি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্যে সংগ্রহ করা হয়। দুটি ক্ষেত্রে প্রামাণ্য তথ্যের গরমিল দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শিমলা গণধর্ষণ মামলায় এক অভিযুক্তের লকআপে মৃত্যুর পরে সিবিআই গ্রেফতার করেছে হিমাচলপ্রদেশে ৮জন পুলিশ অফিসারকেও। ধৃতদের ভিতর রয়েছেন হিমাচল প্রদেশ পুলিশের এক ইন্সপেক্টর জেনারেলও।
এদিকে শিমলা গণধর্ষণ মামলার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনাটি রাজ্য পুলিশের একাংশ এখন ধামাচাপা দিতে চাইছে। উল্লেখ্য, ৪ জুলাই গুড়িয়া নামে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষিত হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার দুদিন পরে তার বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ছয় জুলাই মেলে ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর মৃতদেহটি। প্রসঙ্গত, শিমলায় ওই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করার দায়ে ধরা হয়েছে আশিস চৌহান (২৯), রাজেন্দর সিং ওরফে রাজু (৩২), সুভাষ সিং বিস্ত (৪২), লোক জান (১৯), সুরজ সিং (২৯) এবং দীপককে(৩৮)। এদের ভিতর শেষ চারজন কৃষিশ্রমিক। মামলায় অভিযুক্ত ব্যাঙ্গালুরুর ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের ছাত্র আশিস চৌহান এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর পুত্র। প্রভাবশালী মহলের কারসাজিতে পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করছে স্থানীয় মহলে এই অভিযোগ ওঠার পরে এই মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।