ঢাকা, ১৯ আগস্ট (হি. স.): বাংলাদেশে বন্যায় এপর্যন্ত ৯৪জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৬টি জেলার ৫৫ লাখ মানুষ বন্যাদুর্গত। এদিকে বন্যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিএনপি-র তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ত্রাণ বিলির কাজে সরকারের গাফিলতি হয়েছে। বহু মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। তবে সরকারি তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে সফর করছেন মন্ত্রীরা। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের উত্তরের বন্যাদুর্গত এলাকাগুলিতে সফরে যাওয়ার কথা।
এদিকে বন্যাদুর্গত মানুষের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছ থেকেও তাঁরা ত্রাণ পাচ্ছেন না। ফলে দুর্গতরা পড়েছেন দারুণ বিপাকে। দুর্গত এলাকাগুলিতে শিশুখাদ্য, পানীয় জল ও গবাদি পশুর খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সূত্রের খবর, উত্তরের জেলাগুলি থেকে ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করলেও দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলিতে জল ক্রমে বাড়ছে। এদিকে যে সমস্ত জায়গায় জল কমতে শুরু করেছে, সেখানকার বাসিন্দারা পড়েছেন ঘোর বিপাকে। বিশেষত দরিদ্র মানুষজন। কেননা ডুবে থাকা বাড়িগুলি জল কমায় ফের জেগে উঠলেও বহু মাটির বাড়ি পুরোপুরিভাবে ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু ফের বাড়ি তোলার মতো আর্থিক সংস্থান নেই অধিকাংশ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ভিতর অনেকে আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারি ত্রাণ বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। ফলে দুর্গত মানুষজনের আকুল প্রশ্ন, কীভাবে তাঁরা ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন? প্রসঙ্গত, গত তিনদশকের বন্যার ভয়াবহতাগুলির রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের বন্যা।
বিএনপি-র তরফে ইতিমধ্যে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ। যদিও সরকারের তরফে বিএনপি-র অভিযোগ মানা হয়নি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যব্রত সাহা বলেছেন, বন্যার আগাম পূর্বাভাস পেয়ে ত্রাণ মজুত করা হয়েছিল। তা এখন যথাযথভাবেই বিলি করা হচ্ছে বলে সত্যব্রতবাবু জানিয়েছেন।