পটনা, ১৯ অগাষ্ট (হি.স.) : বিহারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭০ জন। শনিবার এবং রবিবারও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ১৭টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে এক কোটি মানুষ। শুধু আরারিয়া জেলাতেই ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৭টি এবং এনডিআরএফের ২৮টি দল। সেনার ২৮০টি এবং এনডিআরএফের ১১৮টি নৌকা নামানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সেরও একটি দল কাজ করছে দুর্গতদের উদ্ধারে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে প্রায় দু’হাজার অন্নসত্র খোলা হয়েছে দুর্গতদের খাদ্য সরবরাহের জন্য।
উত্তরপ্রদেশের পূর্ব দিকেও টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রোহিন নদীর জল উপচে প্লাবিত বরাবাঁকি, মহারাজগঞ্জ, গোন্ডা সহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ১০৫টি গ্রাম। নেপালগামী গোরখপুর–সোনাউলি জাতীয় সড়ক জলের তলায় চলে যাওয়ায় সড়ক পরিবহন ব্যাহত। উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে।
অসমে আপাতত বৃষ্টি কমায় নতুন করে আর কোনও জেলা প্লাবিত হয়নি।
শনিবার নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর নেই। বৃষ্টি কমায় বানভাসি জেলাগুলিতে জোরকদমে উদ্ধারকাজ করছে সেনা, এনডিআরএফ এবং অসম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তবে এখনও বিপদসীমার উপরেই রয়েছে ব্রহ্মপুত্র। ফলে প্লাবনের আশঙ্কা কমেনি। অসম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে মোট ২৪ বানভাসি জেলায় কমপক্ষে ৩২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ডুবে গিয়েছে ২,২১০টি গ্রাম। নষ্ট হয়েছে ১,২৩,০০০ হেক্টর জমির ফসল। অসমের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে শুক্রবার ১৪০টি পশুর দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। শুধু গত সপ্তাহেই ২০৪টি পশু মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফার বন্যায় মারা গিয়েছিল ১০৭টি পশু। কাজিরাঙার প্রায় ৮৭ শতাংশ অঞ্চল ৬ ফুট জলের তলায়। জল নামলে আরও পশুর দেহাবশেষ মিলবে বলে আশঙ্কা উদ্যান কর্তৃপক্ষের।
অন্যদিকে, বিহার, অসম এবং উত্তরবঙ্গে বন্যার জন্য রবিবার পর্যন্ত সব উত্তর–পূর্ব রেলের সব ট্রেন বাতিল রাখছে উত্তর–পূর্ব রেল। ২৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে আছে, সরাইঘাট, কাঞ্চনকন্যা, রাধিকাপুর, মহানন্দা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনও।