নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগষ্ট৷৷ রবিবার থেকে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হয়েছে৷ তবে সোমবার দুপুরের বৃষ্টিতে আগরতলার বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গেছে৷ যদিও প্রয়োজনের তাগিদে গতকালই ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়৷ রাজ্য ত্রাণ ও পূনর্বাসন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে সারা রাজ্যে ত্রাণ শিবির চালু হয়েছে ৭৫ টি৷ এই শিবিরগুলিতে আশ্রিত রয়েছে ৯৯১৭ টি পরিবার৷ নতুন করে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে উনকোটি জেলায়৷ এখন পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু সংখ্যা বেরে দাঁড়িয়েছে দুই জন৷ তবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর৷ বিশেষ করে আগরতলা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ পশ্চিম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি বন্যা পীড়িত এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার ত্রাণ শিবির গুটিয়ে নেওয়া হবে৷ জল কমে যাওয়ার মোহনপুর মহকুমায় ৩২ পরিবারের লোকজন বারি ফিরে গেছেন৷ জিরানীয়া মহকুমায় ১৪টি ত্রাণ শিবির ছিল৷ কিছু গ্রাম থেকে জল সরে গেছে৷ ফলে ৬টি শিবিরের মানুষজন এদিন বাড়ি ফিরে গেছে৷ তবে এখনোে অনেক স্থানে জল জমে থাকায় ৮টি শিবির চালু রয়েছে৷ এই ৮টি শিবিরে রয়েছে দুই শতাধিক পরিবার৷ এইদিকে সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত বিশালগড়ে ও সোনামুড়াতে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে৷ বিশালগড়ে ৬টি শিবির খোলা হয়েছিল৷ এই ৬টি শিবিরে ৪৬৬ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ এর মধ্যে ৫০টি পরিবার বাড়িতে ফিরে গেছে৷ নতুন করে ২টি শিবির করতে হয়েছে খোয়াইতে৷ তবে তেলিায়মুড়ার যে ৭টি শিবির করা হয়েছিল সেগুলি গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ জল কমে যাওয়ার এলাকার ১৪৫ টি পরিবার বাড়িতে ফিরে গেছেন৷ তবে ঊনকোটি জেলার কিছু এলাকা নতুন করে বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে৷ প্রশাসনের উদ্যোগে কৈলাসহর এবং কুমারঘাটে দুটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ হাওড়া ও কাটাখালের জলস্তর কমতে শুরু করেছে৷ এই সাথে বাড়ছে দুর্ভোগও৷ ভট্টপুকুর এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গেছে বহু বাড়ি ঘর৷ গত ২৪ ঘন্টায় সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে৷