নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগষ্ট৷৷ খাকি উর্দির ক্ষমতার আস্ফালনে বিনা অপরাধে দুই কলেজ পড়ুয়া নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় রাতের আঁধারে অশান্ত হয়ে উঠে কল্যাণপুর৷ পুলিশি দাদাগিরির প্রতিবাদে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা খাকি উর্দিধারীদের ঘেরাও করে রাস্তা অবরোধ করে৷ উত্তেজনার বশে চিৎকার চেঁচামেচিতে সন্নিহিত মন্দিরের মর্ধীয় অনুষ্ঠান চালকালে উপস্থি মানুষ বাড়িঘরে যাওয়ার দৌড়ঝাঁপ চালায়৷ পূর্ব সূচী মোতাবেক স্থানীয় আশ্রমে জড়ো হতে থাকে৷ এরই মধ্যে আশ্রম সংলগ্ণ স্থানে তীব্র হইচই, দৌড়ঝাঁপ৷ অভিযোগ কল্যাণপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দিব্যেন্দু রায় মদ বিরোধী অভিযানের নাম দুই কলেজ ছাত্রমে বিনা অপরাধে নিগৃহীত করে৷ ছাত্ররা অভিযোগ করে বলে বাড়ির পাশে আশ্রমে অনুষ্ঠান চালকালে রাস্তায় দুই বন্ধু মিলে গল্প করছিল৷ এমন সময় কল্যাণপুর থানার ওসি এসআই দিব্যেন্দু রায় তাদের সামনে এসে এখানে উপস্থিতির কারণ জানতে চায়৷ উত্তর জানাতেই একজনকে শারীরিক নিগৃহীত করে৷ অপরজন দৌড়ে বাড়ি ঘরে ঢুকে গেলে পুলিশ তাকেও টেনে হিঁচড়ে আনে৷ ওসি তাদের অশালীন ভাষায় গালমন্দ করতে তাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়৷ শুরু হয় পুলিশ স্থানীয় জনতার বাক যুদ্ধ৷ মুহুর্তে বিনা অপরাধে ছাত্রদের নিগৃহীত করার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নামে৷ সাধারণ মানুষ পুলিশকে ঘেরাও করে খোয়াই-তেলিয়ামুড়া সড়ক অবরোধ করে৷ মানুষ দাবী করে বিনা অপরাধে পুলিশ হয়রানি বন্ধ করতে হবে৷ শেষ পর্যন্ত থানার ওসি নিজের দায় মাতায় নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন৷ স্থানীয় দুই পঞ্চায়েত সদস্য ময়দানে এসে পরিস্থিতি মানুষকে বুুঝিয়ে রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে ঘেরাও মুক্ত করে৷ সাধারণ মানুষ জানায় পুলিশ জনগণের বন্ধু, তাদের কাছ থেকে ভাল ব্যবহারই কাম্য৷