নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ আগস্ট৷৷ ১লা আগস্ট বোধজংনগরের ঘটনাক্রমের পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আতঙ্কের ঘোর কাটছে না বিধবস্ত শিল্প নগরীতে৷ সেদিনের ঘটনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত শিল্প নাগরীতে কোন শিল্প কারখানার ঝাঁপ উন্মুক্ত হয়নি৷ পলে একপ্রকার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ৷ কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই দিকে তাকিয়ে আছেন শিল্প কর্মীরা৷ এইদিকে বুধবার গোটা এলাকা ঘুরে দেখেছেন শিল্পীমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ তিনি কথা বলেছেন কারখানার মালিক ও মুষ্টিয়ের কর্মীদের সাথেও৷ বর্তমানে বোধজংনগর শিল্প নগরীতে ৩৮টি শিল্পকারখানার হয়েছে৷ কিন্তু আর্জ পর্যন্ত আতঙ্কের প্রভাব মুক্ত হয় নি এলাকা৷ বিধবস্ত শিল্প নগরীতে দেশীয় কারখানা যেমন রয়েছে তেমনিও বিদেশী সংস্থার প্রোডাকশন ইউনিটও রয়েছে৷ জানা গেছে, ঘটনার দিন দটি বিদেশী সংস্থায় হামলা চালিয়েছিল উচ্ছৃঙ্খলা যুবকরা৷ প্রসঙ্গত, ৩৮টি শিল্প সংস্থায় মোট ১৮শ’র তম কর্মী রয়েছে৷ এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ কর্মীই হলেন স্থানীয় উপজাতি অংশের যুবক-যুবতী৷ শিল্প সংস্থাগুলি পরিচালকরা এই ঘটনার পর আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে৷ যেবাবে কারখানায় ও তার আগে থানা ভাঙচুর করা হয়েছে এমনকি টিএসআর জওয়ানের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে তারপর তেকে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন সবকয়টি শিল্প সংস্থার কর্মকর্তারা৷ অনেকেই রাজ্য সরকারকে তা জানিয়েছেনও দিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে শিল্প সংস্থাগুলিকে ভরসা জোগাতে শিল্পনগরী পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ তিনি সংস্থাগুলি কর্মকর্তাদের কয়েক জনকে নিয়ে সেখানে বৈঠকও করেছেন৷ কিন্তু তার কোন সুফল আজ অব্ধি পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে৷ দরজা বন্ধ হয়ে আছে সমস্ত শিল্প সংস্থার৷ কর্মীরা কারখানা মুখি হতে চাইছেন না৷ শিল্পমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী বোধজংনগর পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিল্প উন্নয়ন নিগমের বাড়িটির৷ সেখানে থেকে দুটি জেরক্স মেশিন, সমস্ত কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, ওয়াল, লুট করে নেয়া হয়েছে৷ এরপ ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে৷ অফিসের অস্তিত্ব প্রায় নেই বলেই জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী৷ এই ঘটনার পর বিনিয়োগকারীরা এখানে শিল্প স্থাপন করতেই আসবেন না বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি৷