BRAKING NEWS

অনশনের বদলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জুলাই৷৷ নিয়মিতকরণের জন্য অনশনে যাওয়ার বদলে এই দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ কারণ, একই দাবিতে রাজ্যও কেন্দ্রের সাথে দরবার করছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণের বিষয়টি নির্ভর করছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী৷ পাশাপাশি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও বলেনি সর্বশিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্পগুলির দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে৷ তবে, রাজ্য চাইছে সারা দেশে এই প্রকল্পে একটাই নীতি প্রচলিত হউক৷
বুধবার মহাকরণে সর্বশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষকদের দাবি আদায়ে অনশনে যাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যে এখনও এমন পরিস্থিতি হয়নি, যে দাবি পূরণে অনশন আন্দোলন করতে হবে৷ সর্বশিক্ষা প্রকল্পে জাতীয় পরিস্থিতি নিয়ে চর্চা করা দরকার৷ ২০০২ সালে যখন সর্বশিক্ষা প্রকল্প চালু হয়েছিল তখন থেকেই সারা দেশে একটাই নীতি প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই পথে হাঁটেনি কেন্দ্রীয় সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারকে তাদের পুরো দায়িত্ব বহন করার জন্য এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এমন কোন নির্দেশিকা জারি করেনি৷ এবছর সর্বশিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত শিক্ষকদের বেতন খাতে কেন্দ্রের কাছে ৩১৮ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে৷ বাকি টাকা রাজ্য বাজেট থেকে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরাসরি ১০০ কোটি টাকার উপর ঘাটতি রাজ্য সরকারকে তাদের বেতন মিটিয়ে দিতে বহন করতে হবে৷ রাজ্য সরকার তাতেও প্রস্তুত, কারণ শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নয়, বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কিন্তু, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্র যেভাবে কাটছাঁট শুরু করেছে, সর্বশিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্পেও একই চিন্তাধারা প্রতিফলিত হচ্ছে বলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন৷
শিক্ষামন্ত্রীর দাওয়াই, সর্বশিক্ষার শিক্ষকরা দাবি আদায়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত৷ কারণ, একই দাবিতে রাজ্য সরকারও কেন্দ্রের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দরবার করছে৷ সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেছেন৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন জবাব দেননি সংসদে৷
এদিকে, সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি তিনি আজ ফের সংসদে উত্থাপন করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু, প্রচন্ড হৈ হট্টগোলের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি৷ তবে, সংসদের বাদল অধিবেশনে তিনি বিষয়টি নিয়ে আবারও সোচ্চার হবেন বলে জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *