শাসক দলের ইশারাতেই কংগ্রেসের ডাকা বন্ধ, দাবি বিজেপির , অবরোধ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা সন্দেহের উর্দ্ধে নয় ঃ বীরজিৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুলাই৷৷ পৃথক রাজ্য তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে গত ১০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আইপিএফটির অনির্দিষ্ট কালীন সড়ক ও রেল অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘন্টা ব্যাপী ধর্মঘট সকাল থেকে শুরু হয়েছে৷ সকাল ৫টা থেকে শুরু হওয়া বনধ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত৷ রাজ্যে অনেকটা ছুটির মেজাজেই শুরু হয়েছে ধর্মঘট৷ পথঘাট সুনসান৷ জনাকয়েক কংগ্রেস কর্মী পোস্টফিস চৌমহনির কংগ্রেস ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে টায়ার পোড়ালেন৷ পরে সচিবালয়ের সামনে পিকেটিঙের জন্য হাজির হয় কংগ্রেস নেতা কর্মীরা৷ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডের অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যায়৷ রাজধানী আগরতলা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও শান্তিপূর্ণ ভাভেই চলছে বনধ৷ কথ কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই৷ পিকেটিং করতে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, আইপিএফটি গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করতেই পারে কিন্তু এই আন্দোলন গণতন্ত্রের নামে সাধারণ জনগণের মানবাধিকার হনন করছে৷ কিন্তু রাজ্য সরকার নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে৷ পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের হচ্ছে৷ তিনি অভিযোগ করেন, আইপিএফটির অবরোধের পেছনে বিজেপির মদত্ত রয়েছে৷ নির্বাচনের আগে মণিপুরেও তাই করেছিল বিজেপি৷ এসব বিজেপির পুরানো খেলা৷ বিজেপি অস্থিরতা সৃষ্ট করতে চাইছে৷ তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকারের ভূমিকা সন্দেহের উধের্ব নয়৷ রাজ্য সরকার না আলোচনা করছে না, অবরোধ মুক্ত করছে৷ এই ধরণের পরিস্থিতি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসাবে কংগ্রেসে মেনে নিতে পারেন৷ তাই আজ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ সারা রাজ্যের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এতে সামিল হয়েছে৷ অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব অভিযোগ করেন কংগ্রেস রাজ্য থেকে ধুয়ে মুঝে যাচ্ছে৷ এই সময় সিপিআইএমের সাহায্যে, তাদের ইশারাতেই কংগ্রেস এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷ এই ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রাজ্যের মানুষকে নতুন সমস্যার মুখে ফেলে দিল কংগ্রেস৷ তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের ডাকা ধর্মঘট রাজ্যের মানুষের জন্য আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করেছে৷ জনগণের সমস্যার সম্মুখীন জিনিষপত্র আসছে না, তার উপর ধর্মঘট৷ বিজেপি অনেক জায়গায় বনধ বিরোধী পাল্টা প্রচারে নেমেছে৷
এদিকে, কংগ্রেসের ডাকা বন্ধের প্রেক্ষিতে বিজেপি বলেছে, রাজ্যে শাাসকদলের সমর্থনে কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে৷ একদিকে যখন শাসকদলের মদতে আইপিএফটি (এন সি গ্রুপ) -র ক্রমাগত রাস্তা অবরোধ এর কারনে রাজ্যবাসীর বিড়ম্বনা আরও বাড়ানোর উদ্দেশ্যে রাজ্যে গনবর্জিত দল কংগ্রেস বনধ এর সিদ্ধান্ত নেয়৷ ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশ এ-হেন বনধের নিন্দা জানায় পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধ প্রত্যাখ্যান করার জন্য রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানায়৷ লক্ষ্য করা গেছে রাজ্যের সর্বত্রই আজ যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল৷ পার্টি মনে করে, শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদত থাকা সত্বেও কংগ্রেসের ডাকা বনধ রাজ্যবাসী যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাতে নিঃসন্দেহে ত্রিপুরা রাজ্যে পরিবর্তনের পথ আরও প্রশস্থ হয়েছে ঘৃনাভাবে এই বনধ প্রত্যাখ্যান করার জন্য পার্টি রাজ্যের গ্রাম-পাহাড় এবং শহরে বসবাসকারী সকল রাজ্যবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে৷