নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুলাই৷৷ আইপিএফটির অনির্দিষ্ট কালীন জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধের দশম দিনে আন্দোলন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে আবার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে৷ পৃথক রাজ্য তিপ্রাল্যান্ডের দাবীতে অবরোধকারীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে৷ কার্যত আইপিএফটি ভাঙনের মুখে এসে ঠেকেছে৷ এখন বিভাজন ঠেকানো কঠিন হলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে৷ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ নিয়ে প্রচন্ড অনৈক্য দেখা দিয়েছে৷ আইপিএফটির সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা আর তার দলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না৷ দলের একটি গোষ্ঠী অবরোধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী৷ যদিও নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা ও আরও কয়েকজন রাজ্যের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের আবেদন এবং রাজ্যের মানুষের সৃষ্ট সমস্যাগুলো বিবেচনায় রেখে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেবার পক্ষে মত দেন৷ তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে আইপিএফটি নেতৃত্বের দাবী মেনে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাদের বিষয় নিয়ে আলোচনার আশ্বাসও দেন৷ এই ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবিও রাজ্যপাল তথাগত রায় কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিতে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ দশম দিনে জীতায় সড়ক ও রেল আইপিএফটির অনির্দিষ্ট কালীন সড়ক ও রেল অবরোধ আজ প্রত্যাহার করে নেবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ রাজ্যপালের আবেদন নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকও শুরু হয়৷ কিন্তু এই বৈঠকে জটিলতা আরও প্রকট হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে৷ গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা করার কথা থাকলেও আইপিএফটির সাথে কথা বলেনি কেউই৷ পরিবর্তে রাজ্যপাল তথা গত রায়ের সাথে কথা বলতে বলা হয়েছে৷ কেন্দ্রের সেই বক্তব্য মোতাবেক এদিন নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিল রাজ্যপালের সাথে কথা বলেছেন৷ একই দিনের দুই দুইবার তাদের মধ্যে কথা হয়েছে৷ রাজ্যপাল আইপিএফটি নেতৃত্বকে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করতে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন৷ রাজ্যপালের আবেদন মেনে সড়ক ও রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে কি না তা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনা বুধবার সকালে শুরু হয়৷ পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে গত ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল আইপিএফটির অনির্দিষ্ট কালীন সড়ক ও রেল অবরোধ৷ প্রশাসনের তরফে কোনও বাধা না পেয়ে বড়মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে জাতীয় সড়ক ও রেল পথে অবরোধ আন্দোলন এখনও চালিয়ে যাচ্ছে আইপিএফটি কর্মীরা৷
দশম দিনে আইপিএফটির অনির্দিষ্ট কালীন সড়ক ও রেল অবরোধ আজ প্রাত্যাহার করে নেবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ রাজ্য পালের আবদন নিযে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক শুরু হয়েছে৷ এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে৷ আইপিএফটির সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্র্ম জানিয়েছেনন, রাজ্যপালের আবেদন এবং রাজ্যের মানুষের সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে বৈঠকে কথা হবে৷ যদিও এখনও অবরোধ চলছে৷ তবে অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে চর্র্চ হবে৷ তাছাড়া রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন তা নিয়েও আইপিএফটি নেতারা আলোচনা করেছেন৷ কোন সিদ্ধান্ত হয়নি৷ আগামীকাল ফের বৈঠক করবেন আইপিএফটি নেতারা৷
গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা করার কথা থাকলেও আইপিএফটির সাতে কথা বলেনি কেউই৷ পরিবর্তে রাজ্যপাল তথাগত রায়ের সাথে কথা বলতে বলা হয়েছে৷ কেন্দ্রের সেই বক্তব্য মোতাবেক এদিন নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সাথে কথা বলেছেন৷ একই দিনে দুই দুইবার তাদের মধ্যে কথা হয়েছে৷ রাজ্যপাল আইপিএফটি নেতৃত্বকে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করতে লিখিত অনুরোদ জানিয়েছেন৷ তবে রাজ্যপালের আবেদন মেনে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে আলোচনা করে বুধবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্র্ম৷ সে অনুযায়ী আজ বৈঠক শুরু হয়েছে৷ পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবি জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আইপিএফটির অনির্দিষ্ট কালীন সড়ক ও রেল অবরোধ৷ প্রশাসনের তরফে কোনো বাধা না পেয়ে বড়মুড়ার পাদদেশে জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আইপিএফটি কর্মীরা৷ তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে আইপিএফটি নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানিয়েছিল৷ এদিকে আজ অবরোধ ১০ দিনে পড়ল৷ অবরোধের ফলে সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের প্রচণ্ড হয়রানি এবং নানারকমের অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে থাকায় আগরতলা থেকে বহিঃরাজ্যগামী যাত্রীদের সীমাহীন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে বিমানের টিকিটের দাম৷
2017-07-20

