BRAKING NEWS

দীপাকে প্রেগন্যান্সি টেস্টের পরামর্শ ডাক্তারদের , বিদ্যুৎ গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন অনশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২ জুলাই৷৷ বিজেপি রাজ্য নেতা বিদ্যুৎ ঘোষ ও নেত্রী দীপা দাস কান্ডে নয়া মোড়৷ গত ২৬ শে জুন থেকে না খেয়ে খেয়ে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরে বিজেপির এসসি মোর্চার নারী নেত্রী দীপা দাস৷ নিঃসঙ্গী নারী দীপা দাস অসহায় হয়ে তেলিয়ামুড়া থানার দারস্থ হয় আজ সকালে নিজের চিকিৎসার জন্য৷ দুপুর ১টায় নাগাদ তেলিয়ামুড়া থানার সহযোগীতায় দীপাকে তেলিয়ামুড়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দীপাকে গর্ভবর্তী কিনা দেখার জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন উনার ব্যাবস্থা পত্রে৷ তবে পরবর্তী সময়ে দীপাকে ঔষুধ পত্রের সাথে একটি প্রেগন্যান্সি টেষ্ট কিট কিনে দিয়ে তার নিজ বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ৷

প্রসঙ্গত বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারিরিক শোষণ, মানসিক যন্ত্রনা, মারধোর এর অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির এসসি মোর্চার রাজ্য নারী নেত্রী দীপা দাস বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার স্ত্রীর নামে তেলিয়ামুড়া থানায় একটি অভিযোগ পত্র জমা দেয়৷ দীপার দাবী মামলার পর থেকে ক্রমাগত দীপার মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি আসছে৷ যে কারনে গত ২৬ তারিখ থেকে দীপা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়৷ এক অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন যাপন করছে৷ তিনি আরো জানায় যত দিন না পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে তিনি খাওয়া দাওয়া করবেন না৷ তবে উনার এই অবস্থায় দলের একটি অঙ্গ সংগঠনের রাজ্য নারী নেত্রী হয়েও দলের কেউ পাশে না থাকায় দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন দীপা৷

অপরদিকে দীপা-বিদ্যুৎ কান্ডে রাজ্য রাজনীতিতে বইছে নতুন জোয়ার৷ দীপাকে তার ন্যায্য অধিকার ও ন্যায় পাইয়ে দিতে বামপন্থী নারী সংগঠন  থেকে শুরু করে তপশিলী জাতি সমন্বয় সামিতি রাজ্য ব্যাপী আন্দোলনে নামে৷ আজ সকালেও ত্রিপুরা তপশিলী জাতি সমন্বয় সমিতির তেলিয়ামুড়া মহকুমার এক প্রতিনিধিদল দীপার সাথে দেখা করতে যায় এবং  তার পরিবারের সাথে কথা বলে৷ সাথে ছিলেন বিধায়িকা গৌরী দাস সহ অন্যান্য নারী নেত্রিরা৷ তিনি জানান একটি দলিত শ্রেণীর নারীর উপর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের এই উর্বর আক্রমন কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ অতিসত্তর বিদ্যুৎ ঘোষ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করা হলে সংগঠন রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের পথে হাটবে৷

অপরদিকে খবর লেখা পর্যন্ত দীপার পেটে সন্তান আছে কিনা তার খবর পাওয়া যায়নি৷ কারন চিকিৎসকের ব্যাবস্থা পত্র অনুযায়ী তেলিয়ামুড়ার কোন ল্যাবে তার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করানো হয়নি৷ তাকে একটি টেস্ট কিট দেওয়া হয়েছে বাড়ীতে পরীক্ষা করানোর জন্য৷ যদি ঐ দীপা দাস গর্ভবতী হন তাহলে বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *