নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২ জুলাই৷৷ চড়িলাম বিধানসভার অধিন বড়ডেফা এলাকার হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তার যত্রতত্র ভাঙনের ফলে একদিকে যান চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে৷ অন্যদিকে জনজীবনে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷ জানা যায়, বিগত সাত/আট বছর ধরেই এ রাস্তায় যেখানে সেখানে ভাঙ্গন দেখা দেয়৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের থেকে শুরু করে ব্লক আধিকারিক শান্তনু বিকাশ দাসকে রাস্তা মেরামতের কথা বহুবার জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ একেবারে উদাসীনতার কারনে এ রাস্তার তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি দীর্ঘ দিনেও৷ আবার এ এলাকায় বামফ্রন্টের দুজন প্রতিনিধিত রয়েছেন৷ কেন তারা রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগে নিচ্ছে না এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ণ চিহ্ণ দেখা দিয়েছে৷ এলাকাবাসীরা জানায়, সরকারিকভাবে এখানে, রাস্তা মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই অল্প বৃষ্টিতেই ভাঙন দেখা দেয় এবং কাদাজলে ভয়াবহ রূপ নেয়৷ ফলে এলাকাবাসীর পথ চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে৷ বড়ডেফার এই গ্রামীণ সড়কটি জাতীয় সড়কের সামনে থেকে শুরু করে চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের পাশে জাতীয় সড়কে মিলিত হয়েছে৷ তবে এরাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়িত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার জনগনের৷ প্রসঙ্গত তৎকালিন বিডিও তথা বিমল চক্রবর্তী এ রাস্তার কাজ অর্ন্ধেক করিয়ে বাকি অর্থ আত্মসাত করে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ তবে বর্তমান বিডিওকে এ রাস্তা সংস্কারের জন্য এলাকায় জনগন গনস্বাক্ষর করে একটি আবেদন প্রদান করলেও আজ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত কিংবা রাস্তার দিয়ে কি ভাবে বিদ্যালয় পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করে তারও কোন খবর দেওয়ায় প্রয়োজনটুকু মনে করেনি উদ্ধৃতন কর্তৃপক্ষ৷ এ এলাকায় যদি কোন কারনে কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে একটি অটো গাড়ি পর্যন্ত যেতে পারে না৷ প্রায় দুইশ মিটার রাস্তা এখন পর্যন্ত বাকি রয়েছে ইট দিয়ে সলিং করার৷ এলাকাবাসীর বক্তব্য যদি এই দুইশমিটার রাস্তাও সংস্কার করে দেওয়া হয় পথ চলতি জনগনের কিছুটা হলেও নিস্তায় পেত৷ এলাকারই কয়েকজন শিক্ষিত যুবক/যুবতীরা সংবাদ প্রতিনিধিদের বলেন শুধু নির্বাচন এলেই নেতা আমলাদের এই গ্রামে উন্নয়নের কথা চিন্তা করে৷ হয়তোবা নির্বাচন এগিয়ে আসছে রাস্তা সংস্কার করা উদ্যোগীও হতে পারে জন প্রতিনিধিরা৷ তাই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে৷ এবং এলাকায় জনগন এ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারনের নিত্য দিনের এ ভোগান্তি লাঘবে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন৷