নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুন৷৷ ভুল চিকিৎসার কারণে সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এক উপজাতি রমণির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টা নাগাদ বিলোনীয়া হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা কাতর অমলদেবী ত্রিপুরাকে ভর্তি করা হয়৷ তার বাড়ি বিলোনীয়া মনুরমুখ বাহাদুর পাড়া এলাকায়৷ মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি ভর্তি হওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুশান্ত সাহা তাঁর অবস্থা দেখে প্রথমে তাকে জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ কিন্তু, ভর্তি হওয়ার পর কিছুক্ষনের মধ্যে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে চিকিৎসক জানান বিলোনীয়া হাসপাতালেই প্রসব করানো হবে৷ বুধবার ভোর রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে অমলদেবী ত্রিপুরা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন৷ কিন্তু, প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে চিকিৎসক ডাঃ সুশান্ত সাহা তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেন৷ সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হয়েছিল৷ আজ সকালে আরো একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়৷ সকালের ইঞ্জেকশনটি দেওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়৷ খবর পেয়ে মহারাণী আউট পোস্টে কর্মরত তার স্বামী রাজেন্দ্র ত্রিপুরা হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং চিকিৎসকের কাছে মৃত্যুর কারণ জানতে চান৷ এই ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এসডিএমও ডাঃ জগদীশ নমঃ ময়না তদন্তের জন্য একটি বোর্ড গঠন করেন৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হৃদযন্ত্রের ধমনীতে রক্ত প্রবেশ করে ঐ মহিলার মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতার বাবা কৃষ্ণবাদী ত্রিপুরা বিলোনীয়া থানায় ডাঃ সুশান্ত সাহা’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন৷
2017-06-29

