নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ রাজ্যের তৃণমূল বিধায়কদের বিজেপিতে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি করলেন না আসমের

অর্থমন্ত্রী তথা উত্তরপূর্বাঞ্চল গণতান্ত্রিক জোট (নেডা) এর চেয়ারম্যান হেমন্ত বিশ্ব শর্র্ম৷ তবে, তাঁদের বিজেপিতে নেওয়া নিয়ে পার্টির রাজ্য কমিটিই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ একইসাথে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল বিধায়কদের বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি৷
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে হেমন্ত বিশ্বশর্র্ম বলেন, ‘‘পার্টি সিপিআইএমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়৷ তবে কাদের পার্টিতে নেওয়া হবে এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটিই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে’’৷ তিনি বলেন ‘‘যারা বিজেপিতে আসতে চাইছেন তাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্র্বচনে বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তাদের বিজেপিতে প্রবেশের পথ সুগম করুক৷ তবে বিজেপিতে বিরোধী কংগ্রেস এবং তৃণমূল বিধায়কদের সামিল করা না কারা নিয়ে পার্টিতে কোন দ্বিমত নেই’’৷
তিনি জানান, এই রাজ্য থেকে বামফ্রন্টকে হঠানোই মূল লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্যে বিজেপি রাজ্য কমিটি জোর চেষ্টা চালিয়েছে৷ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থনও মিলছে৷ এরাজ্যে বিজেপি এখন বিরোধী শিবিরে একক সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হয়েছে৷ তবে, বিধানসভায় বিজেপির কোন সদস্য নেই৷ বিরোধী বিধায়করা বিজেপিতে আসতে চাইলে আপত্তির কোন কারণ নেই বলে স্পষ্ট জানান হেমন্তবাবু৷ কিন্তু, বিজেপি রাজ্য কমিটির সাথে আলোচনা ছাড়া কোন পদক্ষেপ নেবেন না শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এদিন হেমন্তবাবুর বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে বিরোধী বিধায়কদের দলে নিতে শীর্ষ নেতৃত্বের আপত্তি নেই৷ তবে, রাজ্য স্তরের নেতৃত্বদের সম্মতির মর্যাদা দিতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব৷ তাই বিরোধী বিধায়কদের পদ্মবনে শামিল হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপি রাজ্যের উপজাতি সংরক্ষিত ২০টি আসন নিয়ে পৃথক ভাবে একটি ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি করবে৷ আর এতে সে সব উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দল সহমত পোষণ করবে তারাই বিজেপির সঙ্গে জোট বদ্ধ হতে পারবে৷ তবে বিজেপি পৃথক রাজ্যের দাবী মানে না’’৷

