নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷ পুকুরের জলে ডুবে এক ব্যাক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় তীব্র

উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে৷ বিএসএফের বিরুদ্ধে সীমান্তবাসীরা ক্ষোভ জাহির করেছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে সোনামুড়া মহকুমার যাত্রাপুর থানার অধীন তাইজ্জামুড়া এলাকায়৷ নিহত ব্যক্তির নাম আলি মিয়া (৫০)৷ বিএসএফের বিরদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ সময়মতো গেইট না খোলাই আলি মিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ এনিয়ে জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷
সংবাদে প্রকাশ, সোনামুড়া মহকুমার যাত্রাপুর থানার অধীন তাইজ্জামুড়া গ্রাম৷ সীমান্ত গ্রামটির ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত রয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা৷ ইতিমধ্যেই ঐ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ বেড়ার ওপারে ভারতের ভূখন্ডে বহু মানুষের ধানি জমি জায়গা রয়েছে৷ বিএসএফ গেইট খুলে দিলে প্রয়োজনের নিরিখে ওপারে যাতায়াত করে গ্রামের মানুষরা৷ এলাকার ছয় নম্বর সীমান্ত গেইট পেরিয়ে গরু চড়াতে ওপারে গিয়েছিলেন আলি মিয়া৷ গরু চড়ানোর সময় বেড়ার ওপারে একটি পুকুরের পারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আলি মিয়া৷ যেকোন কারমেই হো আলি মিয়া হঠাৎই পুকুরের জলে পড়ে যায়৷ আর তা প্রত্যক্ষ করেন কাঁটাতারের বেড়ার এপারে থাকা জনগণ৷ আলি মিয়া পুকুরের জলে ডুবে যাচ্ছে দেখেও এলাকার লোকজন কিছু করতে পারেনি৷ কারণ, গেইটে তখন তালা৷ সেখানে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের বলা হয়েছে দ্রুত গেই খুলে দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু, বিএসএফ তা করেনি৷ বিএসএফের বক্তব্য তাদের কাছে চাবি নেই৷ বিওপি থেকে চাবি এনে গেইট খুলতে কিছুটা সময় ব্যয় হয়৷ ততক্ষণে চোখের সামনে মৃত্যু হয়ে যায় আলি মিয়ার৷ এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি মৃতের পরিবার ও এলাকার লোকজন৷ এলাকাবাসী বিএসএফের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন৷ তারা আলি মিয়ার মৃত্যুর জন্য বিএসএফকে দায়ী করে৷ তাদের অভিযোগ যদি গেইটের চাবি বিওপিতে না রেখে গেইটের সামনে কর্তব্যরত জওয়ানদের কাছে চাবি থাকতো তাহলে আজ আলি মিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হত৷ এনিয়ে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ পরে যাত্রাপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷

