নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুন৷৷ সিপিএমের আশঙ্কা উড়িয়ে দিল আইপিএফটি৷ এনএলএফটি’র সাথে কোন সম্পর্ক নেই,

জোর গলায় দাবি করেন বিভাজিত আইপিএফটি সভাপতি এন সি দেববর্মা৷ পাশাপাশি জানালেন, তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিপাক্ষিক কিংবা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া দিলে অনির্দিষ্টকালের জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএমের সমস্ত অভিযোগের খন্ডন করে এনসিবাবু এই বিষয়গুলি স্পষ্ট করেছেন৷
তাঁর দাবি, বিজেপি কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনাক্রমে জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়নি৷ গত ১৯ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় অধিবেশনে এই কর্মসূচী গৃহিত হয়েছে৷ গত ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আমন্ত্রণে দিল্লি গিয়ে মন্ত্রী ড জীতেন্দ্র সিংয়ের কাছে যে মেমোরেন্ডাম জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক কিংবা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আবেদন জানানো হয়েছে৷ এনসিবাবু জানান, জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধে রাজ্যবাসীর মারাত্মক সমস্যা হবে না৷ বিকল্প পথে যাতায়াত করতে পারবেন রাজ্যবাসী৷ তবে, কেন্দ্রীয় সরকার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক কিংবা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া দিলে এই অবরোধ আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে৷ তিনি দাবি করেন, আইপিএফটি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হচ্ছে৷ তাঁর কটাক্ষ, বিজনবাবুরা বিজেপি- আইপিএফটি-এনএলএফটি ব্লুপ্রিন্ট নিয়ে যে আশঙ্কা করছেন, তার কোন যৌক্তিকতা নেই৷ ১৯৮৮ সালের পুণরাবৃত্তি ঘটতে পারে এই আশঙ্কাও অমূলক৷ কারণ, ২৯ বছরে রাজ্যের মানুষের আর্থ সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে৷ তখন যে রাজনৈতিক আবহ ছিল, তা বর্তমানে নেই৷ তিনি জোর গলায় দাবি করেন, আইপিএফটি’র সাথে এনএলএফটি’র কোন সম্পর্ক নেই৷ বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে শলা পরামর্শ করেও তাঁরা কোন কিছুই করেন না৷ পাশাপাশি এদিন তিনি স্পষ্ট করে দেন, তিপ্রাল্যান্ডের দাবি থেকে আইপিএফটি সরছে না৷
এদিন, এনসিবাবু সিপিএমকে কটাক্ষ করে বলেন, ১৯৮৮ সালের পুণরাবৃত্তি ঘটলে সিপিএম ফের গণমুক্তি পরিষদের ক্যাডারদের এটিটিএফ বানিয়ে জঙ্গলে পাঠাবে৷ অবশ্য, এখন জঙ্গলে আগের মতো পরিস্থিতি নেই৷ তাই খুব একটা প্রভাব ফেলা সম্ভব হবে না৷

