সোমবার থেকে বনধের ডাক, পর্যটকদের পাহাড় ছাড়ার হুমকি গুরুঙের

দার্জিলিং, ১১ জুন (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ফিরে যেতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সোমবার থেকে পাহাড়ের যাবতীয় সরকারি অফিস বনধের ডাক দিয়েছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। রবিবার প্রশাসনের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে গুরুং বলেন, কাল থেকে পাহাড়ে পুরো বনধ হবে।সেইসঙ্গে রীতিমত হুমকির সুরে পর্যটকদের পাহাড় ছাড়তে বলেছেন বিমল গুরুং । তিনি বলেন, “পর্যটকদের অনুরোধ পাহাড়় ছেড়ে চলে যান, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় মোর্চার বিক্ষোভ ঘিরে অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। পুলিশের উপর ছোঁড়া হয় ইট। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে মোর্চা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। আটকে থাকা পর্যটকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থাও করেন। এরপর গতকাল শিলিগুড়ি ফিরে পাহাড় শান্ত বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর গতকাল রাতভর চলেছে তল্লাশি, ধরপাকড়। গ্রেফতার করা হয় ৫ মোর্চা সমর্থককে । এরপর আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দেয় মোর্চা। বিমল গুরুং জানিয়েছেন, পাহাড়ে বনধ সফল করতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের রাস্তায় নামানো হবে। একইসঙ্গে পর্যটকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পর্যটকদের অনুরোধ পাহাড়় ছেড়ে চলে যান, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। আমাদের আন্দোলন চলবে।”
আজ সকালে পাতলেবাসে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন গুরুং। এরপর গুরুং বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বাধ্য করেছেন গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে নামতে।” তাঁর দাবি, মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাওয়া প্রায় ৫ হাজার কর্মী সমর্থক আবার মোর্চায় যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু, বনধের সময় রাজ্য সরকারের তরফে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে বলে তাঁকে জানানো হলে বলেন, “লাঠিচার্জ হয় হোক পরোয়া করি না। আন্দোলন হলে জেল তো ভরবেই। না হলে আন্দোলন কীসের।” তবে স্কুল, কলেজকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হবে বলে জানানো হয়। খোলা থাকবে না জিটিএ অফিস, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও অফিস।
এদিকে, এদিন দার্জিলিংয়ের তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দেব পর্যটকদের ওপর বিমল গুরুংয়ের ফতোয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন । বলেন, যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে, তারা পাহাড়ের ভাল চায় না।